সারা বাংলা

সেনবাগে আ.লীগ-বিএনপির সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ২০

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে। এতে সাত বছর বয়সী শিশু এবং দুই পুলিশসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে।

সোমবার (২৯ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার ডুমুরুয়া ইউনিয়নের গাজিরহাট মোড়ে সংঘর্ষ হয়। পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার সময় কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে দুই পক্ষকেই সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তেল, গ্যাসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও ভোলায় বিএনপির দুই নেতা হত্যার প্রতিবাদে বিএনপির নিবার্হী কমিটির সদস্য কাজী মফিজুর রহমানের নেতৃত্বে ডুমুরুয়া ইউনিয়নের ইটভাটা মাঠে উপজেলা বিএনপির সমাবেশে যোগ দিতে আসার পথে নেতাকর্মীদের বাধা দেয় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের ঘটনায় ইটপাটকেল ও লাঠির আঘাতে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়। পরে বিএনপি নেতাকর্মীরা সমবেত হয়ে ধাওয়া করলে পিছু হটে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান বলেন, `তেল, গ্যাসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে দেশের সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ ফুসে উঠেছে। আমাদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিলে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা। কিন্তু বিএনপি কর্মীদের ধাওয়া খেয়ে তারা মাঠ ছেড়ে পালিয়ে যায়।’ 

নেতাকর্মীদের আহত হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে প্রতিহত করতে গিয়ে পড়ে ও ইটপাটকেলের আঘাতে বিএনপির কর্মীরা আঘাত পেয়েছে।

সেনবাগ উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও ডুমুরুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শওকত হোসেন কানন বলেন, ‘২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে বিকেল ৫টার দিকে ডুমুরুয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠন একই ইউনিয়নের গাজিরহাট মোড়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করে। সমাবেশ শেষে আমার নেতৃত্বে গাজিরহাট মোড় থেকে বিক্ষাভ মিছিল গাজিরহাট বাজার প্রদক্ষিণ করে। এক পর্যায়ে আমাদের মিছিলে বিএনপি নেতা কাজী মফিজুর রহমানের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়।’

উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, `এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে গাজিরহাট মোড়ের বেশ কয়েকটি দোকানপাট এবং ডুমুরুয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে ভাংচুর চালায়। এ সময় আমাদের ১৫-২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়।’ এক শিশুসহ ২ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে বলেও তিনি জানান।    

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী মফিজুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে পরে তিনি কথা বলবেন।  

সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী বলেন, সংঘর্ষে পুলিশসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।