সারা বাংলা

দুদকের মামলায় কর্ণফুলী গ্যাসের সাবেক কর্মকর্তার স্ত্রী কারাগারে

চট্টগ্রামে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের সাবেক উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. আনিছ উদ্দিন আহমেদ শামীমের স্ত্রী কামরুন নাহার পলিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। 

মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুননেছার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনে আবেদন করেন তিনি। আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে পলিকে কারাগারে পাঠানের আদেশ দেন। একই সময়ে অসুস্থতা বিবেচনায় সাবেক উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. আনিছ উদ্দিন আহমেদ শামীমকে জামিন দেন আদালত।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদুল হক মাহমুদ এর সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, কর্ণফুলী গ্যাসের সাবেক উপ-মহাব্যবস্থাপক আনিছ উদ্দিন আহমেদ ২০১১ সালে ব্যবস্থাপক থাকাকালীন সরকারি চাকরিবিধি লঙ্ঘন করে মেসার্স মেটকো কন্সট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী নেছার আহমদ, তার স্ত্রী নুসরাত জাহান এবং আনিছ উদ্দিন আহমেদের স্ত্রী কামরুন নাহারকে নিয়ে রক প্রপার্টিজ নামে ডেভেলপার কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন। আনিছ আহমেদের স্ত্রী কামরুন নাহারকে ওই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান এবং নেছার আহমদকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক করা হয়। আনিছ উদ্দিন আহমদ হন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক। পরবর্তীতে ২০১২ সালে কর্ণফুলী গ্যাসের ১০ তলা ভবন নির্মাণকাজের জন্য মেসার্স নুর সিন্ডিকেটের সঙ্গে রক প্রপার্টিজ চুক্তি করে।

চুক্তিতে মেসার্স নুর সিন্ডিকেটের পক্ষে মালিক নুর মোহাম্মদ এবং রক প্রপার্টিজের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক নেছার আহমদ স্বাক্ষর করেন। ওই কাজের জন্য মেমার্স নুর সিন্ডিকেটকে প্রাপ্ত বিলের ১ দশমিক ৫ শতাংশ কমিশন বাবদ প্রদানের চুক্তি হয়। ওই কাজের বিল প্রত্যয়ন ও অনুমোদনকারী কর্মকর্তা হলেন কর্ণফুলী গ্যাসের কর্মকর্তা আনিছ উদ্দিন আহমেদ। ওই কাজের বিলও প্রদান করেন আনিছ উদ্দিন আহমেদ নিজেই। পরে দুদকের অনুসন্ধানে এ অনিয়মের বিষয়টি উঠে আসে।  

দুদক আইনজীবী জানান, হাইকোর্ট দুই মামলায় মো. আনিছ উদ্দিন আহমেদ শামীম ও তার স্ত্রী কামরুন নাহার পলিকে এক সপ্তাহের জামিন দেন। জামিনের মেয়াদ শেষে মঙ্গলবার সকালে মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন স্বামী ও স্ত্রী।