সারা বাংলা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই বছর পর ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিতাস নদীর তীরে জেলার লাখো দর্শক মাঝিদের বৈঠার শব্দে নৌকাবাইচ উপভোগ করেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস নদীর শিমরাইলকান্দি গাঁওগ্রাম পয়েন্ট থেকে মেড্ডা সরকারি শিশু পরিবার পর্যন্ত দের কিলোমিটার এলাকায় নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। 

শহরের শিমরাইলকান্দি শ্মশানঘাট থেকে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। 

জেলা প্রশাসক মো. শাহ্গীর আলমের সভাপতিত্বে সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান বক্তব্য রাখেন। করোনা মহামারির কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গত দুই বছর নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়নি।

সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের ছোট-বড় নৌকা নিয়ে উৎসাহী দর্শকেরা নদীর দুই পাড়ে হাজির হতে থাকেন। বেলা একটায় নৌকাবাইচ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও দুপুরের আগেই নৌকায় লাখো দর্শক নদীর দুই পাড়ে অবস্থান নেন। প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে বেলা সাড়ে তিনটায় নৌকাবাইচ শুরু হয়। 

বাইচ চলাকালে বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে পুরো এলাকা মুখরিত হয়ে ওঠে। শহরের দক্ষিণ প্রান্তের শিমরাইলকান্দি থেকে নৌকাবাইচ মেড্ডা সরকারি শিশু পরিবার এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতায় জেলা সদরসহ বিভিন্ন উপজেলা, হবিগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জের ১৩টি নৌকা অংশ নেয়।

জেলা প্রশাসক মো. শাহ্গীর আলম বলেন, সুশৃঙ্খলভাবে নৌকাবাইচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতি বছর নৌকাবাইচ আয়োজনের আশ্বাস দেন তিনি।

প্রতিযোগিতায় সদর উপজেলার পক্ষে অংশ নেওয়া হবিগঞ্জের আবদুল আলীর নৌকা প্রথম ও জাকির হোসেনের নৌকা দ্বিতীয় এবং আশুগঞ্জের পক্ষে হবিগঞ্জের সেলিম মিয়ার নৌকা তৃতীয় হয়েছেন।

দারাজ বাংলাদেশ, বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড ও ইউনিভার্সাল মেডিক্যাল সার্ভিসেস লিমিটেড এ আয়োজনের সার্বিক সহযোগিতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।