সারা বাংলা

লক্ষ্মীপুরে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে ছাত্র সংবর্ধনা

লক্ষ্মীপুরে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ রেখে স্কুল মাঠে নবগঠিত জেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দের সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। 

সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা থেকে লক্ষ্মীপুর বালিকা বিদ্যা নিকেতন মাঠে সংবর্ধনার আয়োজন করে সদর উপজেলা ও সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ। এতে একদিনের শিক্ষা কার্যক্রম বঞ্চিত হয় দুই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। বৃষ্টিতে ভিজে বিদ্যালয়ে এসে ক্লাস করতে না পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিবাবক ও শিক্ষার্থীরা। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, বিষয়টি পূর্বে তাদের কেউ জানায়নি। 

এদিকে অনুমতি না নিয়ে পাঠদান বন্ধ রেখে সংবর্ধনার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান হোসেন। 

জানা যায়, জেলা ছাত্রলীগের নবগঠিত কমিটির সংবর্ধনা দিতেই এই আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষে সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়ন থেকে বিপুল নেতাকর্মী বিদ্যালয় মাঠে সমবেত হন। এতে লক্ষ্মীপুর বালিকা বিদ্যা নিকেতনের পাঠদান ব্যাহত হয়। এবং মধ্য বাঞ্ছানগর এন আহম্মদীয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আগের দিনই ছুটি দেওয়া হয়। এ ছাড়া প্রধান অতিথিসহ সংবর্ধিত অতিথিদের বরণ করতে লক্ষ্মীপুর-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কে ঘণ্টাব্যাপী অবস্থান নেয় নেতাকর্মীরা। এতে আটকা পড়ে যাত্রীবাহী বাসসহ পণ্যবাহী অসংখ্য গাড়ি। এ সময় ড্রোন উড়তে দেখা যায় অনুষ্ঠানস্থলে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান এমপি। সদর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি তারেক মাহমুদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন এমপি প্রমুখ। 

লক্ষ্মীপুর বালিকা বিদ্যা নিকেতনের প্রধান শিক্ষক আলমগীর আলম বলেন, অন্য সময় সমাবেশ হলে আমাদের তারা পূর্বে জানান। কিন্তু এবার অনুষ্ঠান সম্পর্কে আমাদের কেউ কিছু জানায়নি। সকালে বৃষ্টিতে ভিজে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসার পর দুই ঘণ্টা ক্লাস হয়েছে। এরপর মাইকের আওয়াজে আর ক্লাস করানো সম্ভব হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে শিক্ষার্থীদের ছুটি দেওয়া হয়েছে।  

মধ্য বাঞ্চানগর এন আহম্মদীয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবিদা নাজমীন বলেন, আমাকে গতকাল ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠান সম্পর্কে জানানো হয়েছে। তাই শিক্ষার্থীদের সংরক্ষিত ছুটি দিয়েছি।  জানতে চাইলে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তারেক মাহমুদ বলেন, অনুষ্ঠান সম্পর্কে দুই প্রতিষ্ঠানকে আগেই অবহিত করা হয়েছে। তারা বিদ্যালয় বন্ধ দেয়নি কেনো বলতে পারবো না।