পাবনার চাটমোহর থেকে অষ্টমনিষা অভিমুখী পৈলানপুর এলাকায় এলজিইডি’র রাস্তার একটি কালভার্ট অকেজো হয়ে পড়ে আছে দীর্ঘ ৬ বছর ধরে। এ কারণে গুরুত্বপূর্ণ ওই সড়কটিতে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। আর তাই পণ্যবাহী ট্রাক, বাস, মাইক্রোবাস, পিকআপ, প্রাইভেট কারসহ ভারী যানবাহনগুলোকে অতিরিক্ত ১০ কিলোমিটার পথ ঘুরে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
সরেজমিনে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ৬ বছর আগে কালভার্টটি নড়বড়ে হয়ে গেলে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ৩ বছর আগে কালভার্টটি অপসারণ করে চলাচলের জন্য সেখানে ভাঙা ইট ফেলা হয়। তার উপর দিয়ে ভ্যান, অটোরিকশা, মোটরসাইকেল এর মতো ছোট ছোট যানবাহন কোন রকমে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। তবে প্রায়শই ঘটছে দুর্ঘটনা। তবুও মেরামতের উদ্যোগ নিচ্ছেন না কেউই। সম্প্রতি এলাকাবাসী চাঁদা তুলে রাস্তার দুই পাশে গাছের গুড়ি পুতে কোন রকমে চলাচল করছেন। কালভার্টের অভাবে এক সময়ের চালু একটি রাস্তা এখন প্রায় যানবাহন শূন্য।
এলাকাবাসী জানান, চাটমোহর পৌর সদরের জার্দিসমোড় থেকে অষ্টমনিষার দূরত্ব আনুমানিক ৯ কিলোমিটার। এ রাস্তার পৈলানপুর এলাকায় এই কালভার্টটি ভেঙে ভরাটের ফলে বড়াল নদী হয়ে বিলে পানি প্রবেশও বন্ধ হয়ে গেছে। কালভার্টের স্থানটি চলাচল অনুপযোগী হওয়ায় ভারী যানবাহন চাটমোহর আসতে ১৯ কিলোমিটার পথ ঘুরে চলতে হচ্ছে। এতে দশ কিলোমিটার অতিরিক্ত পথ ঘুরতে হচ্ছে তাদের। অতিরিক্ত খরচ ও সময় নষ্ট হচ্ছে যানবাহন চালকদের।
এ ব্যাপারে গুনাইগাছা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রজব আলী বাবলু বলেন, আমি দুইবার এ স্থানটি সংস্কার করেছি। আশা করছি খুব দ্রুত এখানে কালভার্ট নির্মাণ হবে। যত দূর জানি যে কোন সময় টেন্ডার হবে।
চাটমোহর উপজেলা প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ জানান, এ ব্যাপারে উর্ধ্বতন মহলে একটা প্রস্তাবনা পাঠিয়েছিলাম। সেখানে ২০ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি ব্রিজ অনুমোদন হয়েছে। আশা করছি শিগগিরই টেন্ডার দিতে পারবো। টেন্ডার হওয়ার পরে ঠিকাদার কাজ শুরু করবে। আশা করছি আগামি দুই তিন মাসের মধ্যেই ব্রিজের কাজ শুরু হবে।