সারা বাংলা

পোকা দমনে প্রযুক্তির ফাঁদ

ধান ক্ষেতে কীটনাশক ব্যবহার না করেই এখন আলোক ফাঁদ পেতে ক্ষতিকর পোকা দমন করা হচ্ছে। আমনের ক্ষেত সুরক্ষায় আলোক ফাঁদ প্রযুক্তির ব্যবহার দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে। পোকা দমনে এবং পোকার উপস্থিতি নির্ণয়ে দিনাজপুরে আমন ক্ষেতে বসানো হচ্ছে আলোক ফাঁদ। জেলায় ২ লাখ ৬০ হাজার ৮৭৫ হেক্টর জমিতে আমন চাষ করছেন চাষিরা। ১৩টি উপজেলায় একসাথে আমন ক্ষেতে এই আলোক ফাঁদের মাধ্যমে পোকা দমন করছেন কৃষি কর্মকর্তারা।

সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় জেলার ঘোড়াঘাট ও হাকিমপুর উপজেলায় প্রতিটি ব্লকে (আমন ক্ষেতে) আলোক ফাঁদ বসাতে দেখা গেছে। এই ফাঁদ দিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির পোকার উপস্থিতি টের পাওয়া যাবে। পাশাপাশি পোকাও দমন করা সম্ভব। এ ছাড়া ক্ষতিকারক পোকা চিহ্নিত করে কৃষকরা সেই হিসাবে কীটনাশক স্প্রে করতে পারবেন। 

ঘোড়াঘাট উপজেলার কৃষি অফিসার এখলাছ হোসেন সরকার রাইজিংবিডিকে বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ১৩টি ব্লকে আলোক ফাঁদ বসানো হয়েছে। তাতে অনেক পোকা দমন হচ্ছে এবং ক্ষেতে তেমন ক্ষতিকারক পোকা আর দেখা যাচ্ছে না। আমন ক্ষেতে এখন কীটনাশক স্প্রে না করলেও ধানের তেমন ক্ষতি হবে না।

হাকিমপুর উপজেলা কৃষি অফিসার ড. মমতাজ সুলতানা বলেন, উপজেলায় ৮ হাজার ১১৫ হেক্টর জমিতে কৃষক আমন চাষ করছেন। পোকা দমন ও তার উপস্থিতি নির্ণয়ের জন্য সোমবার আমন ক্ষেতে আলোক ফাঁদ বসানো হয়েছিল। এটি চলমান থাকবে।

এ বিষয়ে দিনাজপুর জেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নুরুজ্জামান বলেন, জেলায় ১৩টি উপজেলার সকল কৃষি কর্মকর্তারা এই আলোক ফাঁদের মাধ্যমে পোকা দমনে এক সঙ্গে কাজ করছেন। সোমবার সন্ধ্যায় একযোগে সকল কৃষি কর্মকর্তারা আমন ক্ষেতে আলোক ফাঁদ বসিয়েছেন। এই ফাঁদ দ্বারা উপকারী এবং ক্ষতিকারক পোকা চিহ্নিত করা যাচ্ছে। তেমন কোন ক্ষতিকারক পোকা পাওয়া যায়নি। যদি ক্ষতিকারক পোকা দেখা যায় তাহলে কৃষি কর্মকর্তারা পরামর্শ দেবেন।