পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ট্রলি ও অটোরিকশার সংঘর্ষে ছেলে জিহাদের (১০) মৃত্যুর পর তার মা মুক্তা বেগমও (৪২) মারা গেছেন। শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে বরিশাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
এদিকে রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে জানাজা শেষে মা ও ছেলের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
এর আগে শনিবার দুপুরে উপজেলার বালীয়াতলী ইউপির মুসুল্লিয়াবাদ এলাকায় মর্মান্তিক এ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া মুক্তা বেগম উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের মরিচবুনিয়া গ্রামের মিঠু খানের স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তিন সন্তান ও শাশুড়িকে নিয়ে মুক্তা বেগম তার মামাতো দেবর কাসেমের বাড়ি কুয়াকাটায় বেড়াতে যান। শনিবার দুপুরে সেখান থেকে ধানখালী ইউনিয়নের মরিচবুনিয়া এলাকায় ব্যাটারি চালিত অটোরিকশায় করে ফিরছিলেন তারা। এসময় মুসুল্লিয়াবাদ এলাকায় একটি ট্রলি তাদের বহনকারী অটোরিকশাটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই শিশু জিহাদের মৃত্যু হয়। বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তার মায়ের দুই পা। এছাড়া ঘটনায় গুরুতর আহত হয় জিহাদের বড় বোন মীম আক্তার, ছোট ভাই জুনায়েদ ও দাদি জাহানারাসহ আরও সাত যাত্রী। পরে আহত সবাইকে কলাপাড়া হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে রাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে মুক্তা বেগম মারা যান।
কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিম জানান, ট্রলির মালিক ও চালককে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।