সারা বাংলা

চাঁদাবাজির অভিযোগের পর রমেকের ১৬ কর্মচারীকে বদলি

রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ১৬ জন কর্মচারীকে বদলি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. সামিউল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠিতে তাদের বদলির আদেশ দেওয়া হয়।

বদলি হওয়া এই কর্মচারীরা হলেন-সিরাজুল ইসলাম, বিউটি আক্তার, দুলাল বসুনিয়া, জানুরাম সরকার, নুরুজ্জামান, রইস উদ্দিন, রহমত আলী, হাসিনা বেগম, মহিত আল রশিদ উদয়, আল আমিন ইসলাম, হামিদুল ইসলাম, মোর্শেদ হাবিব, আবুল হাসান, শাহ জাদা মিয়া, আব্দুল আলিম, আবু জাফর। তাদের সবাইকে ঢাকাসহ দেশের পশ্চিম ও দক্ষিণ অঞ্চলে বদলি করা হয়েছে।

জানা যায়, বদলি হওয়া কর্মচারীদের বিরুদ্ধে রোগী ও স্বজনদের কাছ থেকে চাঁদা নেওয়াসহ নানাভাবে হয়রানির অভিযোগ রয়েছে। ওই মেডিক্যাল কলেজের অর্থোসার্জারি বিভাগের জুনিয়র কনসালট্যান্ট চিকিৎসক এবিএম রাশেদুল আমীরও ভোগান্তির শিকার হন।  তার মা হৃদরোগে আক্রান্ত হলে গত ১৭ সেপ্টেম্বর ওই মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি করতে যান তার স্বজনেরা। এ সময়ে স্বজনদের কাছ থেকে বকশিশের নামে চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়।

অভিযোগ উঠেছে, চিকিৎসকের মা পরিচয় দিয়েও রেহাই পাননি। এরপর চিকিৎসক এবিএম রাশেদুল আমীর সেখানে উপস্থিত হলে তার কাছ থেকেও চাঁদা দাবি করা হয়। মাকে নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে এসে হয়রানির শিকার এই চিকিৎসক রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালককে ১৮ সেপ্টেম্বর একটি লিখিত অভিযোগ দেন। এরপর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত দুই কর্মচারী মাসুদ ও ঝর্ণা বেগমকে বরখাস্ত করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

এদিকে, রোগী ও স্বজনদের হয়রানিসহ হাসপাতাল দালালমুক্ত করার দাবি তুলেছেন হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সেরা। এ ঘটনার পরই ১৬ জন কর্মচারীকে একযোগে বদলি করা হলো।