সারা বাংলা

অর্ধযুগ পর খুলনা শিপইয়ার্ড ফোর লেনের কাজে অগ্রগতিতে স্বস্তি

প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫৯ কোটি টাকা। আর প্রকল্পের কাজ ছয় বছর আগে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখন কাজের অগ্রগতি মাত্র ২০ ভাগ। এ চিত্র খুলনা মহানগরীর রূপসা ট্রাফিক মোড় থেকে রূপসা সেতু পর্যন্ত সড়কটি ৪ লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের। ফলে উল্লিখিত সড়কে যানবাহন এবং মানুষের চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

এ ধরনের অনিশ্চিত প্রকল্পে অর্ধযুগ পরও গতি ফেরায় সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয়রা। দৃশ্যমান এ কাজে জনমনে স্বস্তি এসেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালে নগরীর রূপসা ট্রাফিক মোড় থেকে রূপসা সেতু পর্যন্ত সড়কটি ৪ লেনে উন্নীতকরণে প্রকল্প নেয় খুলনা উন্নয়ন কতৃপক্ষ ( কেডিএ) । ২০১৩ সালের ৭ মে একনেকে প্রকল্প অনুমোদন হয়। ৯৮ কোটি ৯০ লাখ ৪৮ হাজার টাকা ব্যয়ের প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৬ সালের জুন মাসে। কিন্তু জমি অধিগ্রহণ এবং প্রকল্প সংশোধন সংক্রান্ত জটিলতায় কাজ পিছিয়ে যায়। পরবর্তীতে প্রকল্প ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ২৫৯ কোটি টাকায়। পরে সংশোধিত প্রকল্প একনেকে অনুমোদন মিললে দরপত্র আহ্বান করা হয়। কাজটি পায় আতাউর রহমান খান লিমিটেড এবং মাহবুব ব্রাদার্স প্রাঃ লিমিটেড (জেভি)। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ৩ দশমিক ৭৭৮ কিলোমিটার দৈর্ঘের সড়কটি নির্মাণে চুক্তিমূল্য ১৪৪ কোটি টাকায় প্রতিষ্ঠানের কার্যাদেশ দেওয়া হয়। বাকি টাকা ব্যয় হয়েছে জমি অধিগ্রহণে।

কেডিএ’র নির্বাহী প্রকৌশলী আরমান হোসেন বলেন, রূপসা নদীর তীরে বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়ে ৩ দশমিক ৭৭৮ কিলোমিটার দৈর্ঘের সড়কটি ৪ লেনে উন্নীত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। সড়কের দুই পাশে মানুষের হাঁটার জন্য প্রশস্ত ফুটপাত, মাঝখানে দশমিক ৯২ মিটার রোড ডিভাইডারে ফুলের বাগান করার পরিকল্পনা আছে। মূল রাস্তা, রোড ডিভাইডার, ড্রেন ও ফুটপাত মিলিয়ে সড়কটি ৬০ ফুট চওড়া হবে। কাজে অগ্রগতি সম্পর্কে তিনি বলেন, সড়কে বেশ জোরেশোরেই নানামুখী কাজ চলছে। বর্তমান কাজে অগ্রগতি শতকরা ২০ ভাগ।

শিপইয়ার্ড সড়কের বাসিন্দা আবুল হাসান বলেন, দেশের দক্ষিণ-পূর্বের জেলাগুলো থেকে খুলনা শহরে প্রবেশ করতে প্রায় ৭/৮ কিলোমিটার পথ ঘুরতে হয় নগরবাসীকে। সড়কটি বাস্তবায়ন হলে এইপথ বহুাংশে কমে আসবে। যাতায়াত সহজ হবে।

নগরীর মতিয়াখালী এলাকার বাসিন্দা ইমরান হোসেন জানান, সড়কটি বাস্তবায়নে দীর্ঘ ৮/১০ বছরের প্রত্যাশা পূরণ হচ্ছে। দ্রুত বাস্তবায়ন দরকার। সড়কের কাজ শেষ হলে মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হবে।

রূপসার বাসিন্দা ফারুক আহমেদ বলেন, সড়কটি অনেক দিন বেহাল অবস্থায় রয়েছে। মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। নানা প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে সড়কে বাস্তবায়ন কাজ শুরু হয়েছে। কাজ শেষ হলে মানুষের চলাচল নিরাপদ হবে, ভোগান্তি কমবে এবং সময় বাঁচবে। তাই দৃশ্যমান কাজে মানুষের মধ্যে স্বস্তি এসেছে।

নগরীর লবণচরার বাসিন্দা শরিফুল ইসলাম বলেন, সড়কটি বাস্তবায়ন হলে খানজাহান আলী (রঃ) সেতু এবং এ সড়কটি ঘিরে অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র তৈরি হবে।