সারা বাংলা

ভোটারদের নিরাপত্তা চেয়ে সিইসিকে চিঠি দিলেন প্রার্থী  

রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটারদের নিরাপত্তা চেয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালকে চিঠি দিয়েছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী আখতারুজ্জামান আকতার। নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার মাধ্যমে এই চিঠিটি পাঠিয়েছেন তিনি। 

এর আগে মঙ্গলবার (৪ অক্টোবল) বিকেলে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে চিঠিটি জমা দেন আখতারুজ্জামান।

আখতারুজ্জামান আকতার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। তিনি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী। 

আকতারুজ্জামানের অভিযোগ, আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার জন্য ভোটারদের চাপ দেওয়া হচ্ছে। ভোটাররা কোন প্রতীকে ভোট দেবেন তা দেখার জন্য কেন্দ্রে লোক রাখা হবে বলেও ভোটারদের জানানো হচ্ছে।

লিখিত অভিযোগে আখতারুজ্জামান বলেছেন, তিনি রাজশাহীর বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়নে ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা করছেন। তাদের ভোটারদের অনেকেই তাকে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। এমনকি ভোট দেওয়ার দৃশ্য মোবাইলে ধারণ করে এনে দেখাতে হবে বলেও ভোটারদের বলা হচ্ছে।

তিনি আরও লিখেছেন, অনেক ভোটার বলেছেন, গোপন কক্ষে তাদের লোক থাকবে। যদি ছবি তুলতে না চান তবে তাদের সমানেই ভোট দিতে হবে। অন্যথায় তাদের লোক তার ভোট দিয়ে দেবে, যেহেতু ইভিএমে ভোট হবে। এ অবস্থায় ভোটকেন্দ্রে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা প্রয়োজন। পাশাপাশি ভোটাররা যাতে নিজেদের মতামত প্রকাশ করতে পারেন সেই নিরাপত্তাও প্রয়োজন।

কোন ভোটার ভোটকেন্দ্রে মুঠোফোন বা ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস নিয়ে যাতে প্রবেশ করতে না পারে এবং অন্য মানুষ যাতে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে না পারে সে বিষয়ে সিইসির হস্তক্ষেপ কামনা করে আখতারুজ্জামান লেখেন, তার দাবিগুলো বাস্তবায়িত হলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে।

আখতারুজ্জামানের অভিযোগের বিষয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মীর ইকবাল বলেছেন, ‘ভোটারদের কোনো চাপ দেওয়া হচ্ছে না। আখতারুজ্জামান মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।’

জেলা পরিষদ নির্বাচনের রাজশাহীর সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল হোসেন বলেন, ‘আখতারুজ্জামানের আবেদনটি তারা পেয়েছেন। এটি দ্রুতই সিইসির কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। সার্বিকভাবে রাজশাহীর নির্বাচনের পরিবেশ এখন পর্যন্ত ভালো রয়েছে।’

আগামী ১৭ অক্টোবর রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। রাজশাহীতে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী চারজন। ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ এবং সিটি করপোরেশনের জনপ্রতিনিধিরা এই নির্বাচনের ভোটার।