খুলনা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত অন্তত ৬০ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
শুক্রবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে খুলনার কেডি ঘোষ রোডের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু এই অভিযোগ করেন।
এদিকে খুলনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন বলেন, ‘বিএনপি নেতাকর্মীদের পরিচয় জেনে আটক করা হচ্ছে না। শুধুমাত্র যাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে তাদেরকেই আটক করা হচ্ছে।’
বিএনপির দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন থানায় অর্ধশত নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে খুলনা সদর থানায় খন্দকার হাসিনুল ইসলাম নিক, মিজানুর রহমান বাবু, বেল্লাল হোসেন, জসমিউদ্দিন লাবু, শফিকুল ইসলাম, মিজান ও কবির ফরাজি, সোনাডাঙ্গা থানায় নজরুল ইসলাম, ডালিম, ডা. শাহ আলম, মাহমুদ আলম বাবু মোড়ল, জুলু, কাজী সেলিম, খালিশপুর থানায় মেহেদী, সামাদ বিশ্বাস, গোলাম মোস্তফা ভূট্টো, মো. হাসান, মোল্লা কওসার, দৌলতপুর থানায় হুমায়ুন কবির, রাসেলুজ্জামান, খানজাহান আলী থানায় জসীম ভূইয়া, মামুন ও উজ্জল এবং হরিণটানা থানায় কামাল, হেলাল ও হযরত আলী রয়েছেন।
এছাড়া বাগেরহাট থেকে আগত চারজনকে খুলনা থানা পুলিশ এবং মোড়েলগঞ্জ বিএনপি নেতা খায়রুজ্জামান শিপনের বাসা থেকে ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিকে গভীর রাতে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলা থেকে বিএনপি নেতাকর্মীবাহী একটি গাড়ি সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন অভিযোগ করেন, ‘বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই নগরজুড়ে পুলিশের ধরপাকড় শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সারারাত পুলিশ শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৬০ জনকে। পুলিশের তৎপরতায় বিভিন্ন এলাকায় ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। তবে ধরপাকড় চালিয়ে সমাবেশমুখী জনস্রোত ঠেকানো যাবে না।