সারা বাংলা

কৌশলে খুলনার পথে বিএনপির নেতা-কর্মীরা

পরিবহন ধর্মঘট, পথে পথে তল্লাশিসহ নানা বাঁধা বিপত্তি ঠেলে বাগেরহাট থেকে খুলনার দিকে যাচ্ছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। শুক্রবার (২১ অক্টোবর) ভোর থেকে ভ্যান, রিকশা, ইজিবাইক বা পায়ে হেটে বিভাগীয় সমাবেশে অংশ নিতে যাচ্ছেন তারা।

সকালে বাগেরহাট কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড ঘুরে দেখা গেছে, টার্মিনালে থাকা সব পরিবহনের কাউন্টার বন্ধ। বাগেরহাট থেকে খুলনাগামী বাস ছাড়াও ঢাকা-চট্টগ্রামসহ অভ্যন্তরীণ রুটের কোনো বাসই চলছে না। বাস টার্মিনালসহ আশপাশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে আওয়ামী লীগ, শ্রমিক লীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা অবস্থান নিয়েছেন। এছাড়া সদর উপজেলার বারাকপুর ও যাত্রাপুর এলাকাতেও একই চিত্র দেখা গেছে। এরই মধ্যেও চিকিৎসা, পরীক্ষা, চাকরিসহ নানা কারণের কথা বলে বিএনপি নেতাকর্মীরা পার পাওয়ার চেষ্টা করছেন।

আরো পড়ুন: বন্ধ গণপরিবহন, দুর্ভোগে বাগেরহাটের মানুষ

শুক্রবার জুম্মার নামাজের কিছু আগে শহরের দশানী এলাকায় হাতে কাপড়ের ব্যাগ ও লঙ্গি পরে হেটে যেতে দেখা যায় দুই ব্যক্তিকে। কথায় কথায় জানান কচুয়া উপজেলা থেকে এসেছেন তারা। পথে দুই স্থানে বাঁধার মুখে পড়েছেন। রাজমিস্ত্রীর কাজে যাচ্ছেন বলে পার পেয়েছেন। আসলে কোথায় যাচ্ছেন, জানতে চাইলে প্রথমে কাজের কথা বললেও কিছুক্ষণ পরে সমাবেশে যাচ্ছেন বলে হাঁটতে শুরু করেন তারা।

এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোজাফফর রহমান আলম বলেন, ‘একদিকে গণপরিবহন বন্ধ রেখেছে অপরদিকে পথে পথে আমাদের নেতাকর্মীদের বাঁধা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কোনো বাঁধাতেই আমাদের কর্মীদের দমিয়ে রাখা যাবে না। যে কোনো মূল্যে খুলনায় গণসমাবেশ সফল করা হবে।’

তবে কোথাও বিএনপি নেতাদের বাঁধা দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ভূইয়া হেমায়েত উদ্দীন বলেন, ‘কোথাও কাউকে বাঁধা দেওয়ার ঘটনা ঘটেনি।’

উল্লেখ্য, শনিবার (২২ অক্টোবর) খুলনা মহানগরীর সোনালী ব্যাংক চত্বরে বিভাগীয় গণসমাবেশের ডাক দিয়েছে বিএনপি। সমাবেশকে কেন্দ্র করে খুলনা জেলা বাসমালিক সমিতির পক্ষ থেকে ২১ ও ২২ অক্টোবর বাস চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে বিএনপির পক্ষ থেকে এমন দাবি করা হয়েছে। 

তবে বাস মালিক সমিতির দাবি সড়ক ও মহাসড়কে অবৈধ নছিমন, করিমন, মাহেন্দ্র, ইজিবাইক ও বিআরটিসির গাড়ি চলাচল করছে। ২০ অক্টোবরের মধ্যে এসব অবৈধ যান চলাচল ও কাউন্টার বন্ধ না হওয়ায় ২১ ও ২২ অক্টোবর পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে।