সারা বাংলা

পটুয়াখালীতে ধর্মঘট অব্যাহত, ভোগান্তিতে যাত্রীরা

মহাসড়কে তিন চাকার অবৈধ যান চলাচলের প্রতিবাদে পটুয়াখালীতে দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে বাস ধর্মঘট। এতে চরমে পৌঁছেছে সাধারণ যাত্রীদের ভোগান্তি। বাস বন্ধ থাকায় মহাসড়ক দখলে নিয়ে তিন চাকার বাহন টমটম, থ্রিহুইলার, ভটভটি, নসিমন, করিমন ও ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চলাচল করতে শুরু করেছে। তাই বাধ্য হয়ে দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে এসব যানবাহনে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা হতে দেখা গেছে যাত্রীদের।  

আরো পড়ুন: বরিশালে সমাবেশে যাওয়ার পথে শাহজাহান খানের ওপর হামলা

এদিকে চলমান ধর্মঘটের কারণে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে কমেছে পর্যটক আগমন। বেশির ভাগ হোটেল মোটেলের কক্ষ ফাঁকা রয়েছে। তাই অনেকটা কর্মহীন সময় কাটাচ্ছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। 

আরো পড়ুন: ২০ ভাগ পর্যটকও নেই কুয়াকাটায়

পটুয়াখালী চৌরাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রী সোহেল সিকদার বলেন, ‘আমি ফার্নিচার (কাঠ) ব্যবসায়ী। পটুয়াখালী থেকে ব্যবসার কাজে প্রায়ই বাকেরগঞ্জ যাওয়া আসা হয়। বাস বন্ধ থাকায় এখন থ্রিহুইলারে যেতে হচ্ছে। তবে ভাড়া আগের চেয়ে দ্বিগুণ চাচ্ছে। মোটকথা আমরা যাত্রীরা বড় ভোগান্তিতে রয়েছি।’ 

পটুয়াখালী বাস টার্মিনালের কাছে গাড়ির অপেক্ষায় থাকা মনসুর আলী বলেন, ‘আমি পটুয়াখালীর একটি প্রতিষ্ঠানে  চাকরি করি। আমার স্ত্রী এবং সন্তানরা কলাপাড়ায় থাকে। তাদের কাছে যেতে এই বাসস্ট্যান্ডে এসেছি। বাস যেহেতু বন্ধ তাই মোটরসাইকেলে যেতে হবে। কিন্তু মোটরসাইকেলের ভাড়া ৩০০ টাকা চাচ্ছে। তারপরও প্রয়োজনের তাগিদে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাচ্ছি।’ 

আরো পড়ুন: পটুয়াখালীতেও বাস বন্ধ, জনজীবনে অচলাবস্থা

পটুয়াখালী জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি রিয়াজ মৃধা বলেন, ‘হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী তিন চাকার বাহন মহাসড়কে চলাচল বন্ধ না হলে লাগাতার ধর্মঘট চলবে। এই তিন চাকা চলাচলের কারণেই সড়কে বেশির ভাগ বাস দুর্ঘটনার সম্মুখীন হচ্ছে। ঘটছে প্রাণহানির মতো ঘটনা। মালিকরা জরিমানা গুনতে গুনতে ব্যবসা গুটিয়ে নেওয়ার উপক্রম হচ্ছে।’