সারা বাংলা

৪ বছর পর মুন্সীগঞ্জ-গজারিয়া নৌরুটে ফেরি চালু 

টানা চার বছর পর দ্বিতীয়বারের মতো মুন্সীগঞ্জ-গজারিয়া নৌরুটে মেঘনা নদীর পারাপারে বুধবার (১১ নভেম্বর) দুপুর ১টার দিকে আবারও ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। এ সময় ৪টি প্রাইভেটকার স্বর্ণচাঁপা ফেরি দিয়ে গজারিয়া থেকে মুন্সীগঞ্জে পার করা হয়। 

গজারিয়ার কাজীপুরা ফেরি ঘাট এলাকায় এর উদ্বোধন করেন মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস ও বিআইডব্লিউটিসি পরিচালক মো. রাসেদুল ইসলাম। এর মধ্যে ফেরিঘাট, পন্টুন স্থাপন ও সংযোগ সড়কের কাজ শেষ করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডাব্লিউটিএ)।

বিআইডব্লিউটিসির পক্ষ থেকে নৌরুটের বহরে আনা হয়েছে সন্ধ্যামালতী, স্বর্ণচাঁপা ও কর্ণফুলী নামের তিনটি ফেরি। বিআইডব্লিউটিসির পরিচালক (বাণিজ্য) এস এম আশিকুজ্জামান জানান, ফেরি চালুর মাধ্যমে নদী পারাপারে স্থানীয়দের দুর্ভোগ শেষ হবে। একইসঙ্গে দক্ষিণবঙ্গ থেকে পদ্মা সেতু হয়ে আসা যানবাহন ঢাকার যানজট এড়িয়ে মুন্সীগঞ্জ হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যাতায়াত করতে পারবে।

এস এম আশিকুজ্জামান আরও বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও মাঝিকান্দি নৌরুটের ফেরিগুলো স্থানান্তরের মাধ্যমে অন্য রুটে ফেরি সেবা চালু করা হচ্ছে। দক্ষিণবঙ্গ থেকে পদ্মা সেতু হয়ে আসা যানবাহন শহরে না ঢুকে মুন্সীগঞ্জ হয়ে ফেরি দিয়ে ভবেরচর হয়ে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে উঠতে পারবে। এ সব যানবাহনের ৭০-৮০ কিলোমিটার দূরত্ব কমে যাবে। এতে আর্থিকভাবেও লাভবান হবে তারা।

তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে এ রুটে তিনটি ফেরি থাকছে। আমরা যদি দেখি গাড়ির সংখ্যা বেড়ে যায় তাহলে ভবিষ্যতে ফেরির সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। তিনটি ফেরির মধ্যে কর্ণফুলী ফেরি ছোট। যখন গাড়ির সংখ্যা কম থাকবে তখন কর্ণফুলী ফেরি দিয়ে পারাপার করা হবে। অন্যান্য রুটে যে হারে ভাড়া নির্ধারিত, সেই হারেই এখানে ভাড়া নেওয়া হবে।’ 

ফেরি স্বর্ণচাঁপার ইংল্যান্ড মাস্টার অফিসার মো. ইখলাস জানান, সন্ধ্যামালতি আর স্বর্ণচাঁপা ফেরিতে যাত্রীসহ পাঁচটি ট্রাক ও চারটি ছোটগাড়ি এক সঙ্গে পারাপার করা যাবে। নদী পাড়ি দিতে সময় লাগবে ২৫-৩০ মিনিট। উদ্বোধনের পর ২৪ ঘণ্টা সচল রাখার পরিকল্পনা রয়েছে।

২০১৮ সালের ৩ জুন এ নৌরুটে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ফেরি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে দুই পাড়ের যাতায়াতের সড়কের বেহাল দশা, যানবাহন সংকটসহ নানা প্রতিকূলতার মুখে কয়েক মাস না যেতে বন্ধ হয়ে যায় সার্ভিসটি। এরপর সরিয়ে নেওয়া হয় ঘাটের পন্টুন।