সারা বাংলা

প্রতারণার মামলায় রাবির ২ শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার

ইমো হ্যাক করে মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশের মাধ্যমে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার মামলায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২ শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সদস্যরা রাজশাহী এসে তাদের আটক করে নিয়ে যায়। পরে সোমবার তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে তোলা হয়।

এই দুই শিক্ষার্থী হলেন-রেজোয়ান ইসলাম রিজু এবং শাকিব শুভ। তারা দুজনই চিত্রকলা, ছাপচিত্র ও প্রাচ্যকলা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তারা রাজশাহী নগরীর চকপাড়া এলাকার একটি ছাত্রাবাসে একই কক্ষে থাকতেন। রেজোয়ানের গ্রামের বাড়ি যশোরের মণিরামপুর এবং শাকিবের বাড়ি নাটোরের লালপুর উপজেলায়।

গত ১৩ নভেম্বর সকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে রাজশাহী নগরীর চকপাড়া এলাকার একটি ছাত্রাবাস থেকে তাদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে গত দুইদিন ধরে তাদের কোন সন্ধান না পাওয়ায় গত সোমবার চন্দ্রিমা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন রেজওয়ানের বড় ভাই মিরাজুল ইসলাম। দুই দিন ধরে রাজশাহীর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।

তবে সোমবার রাতে রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রেজওয়ান ও সাকিবের বিরুদ্ধে মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশ প্রতারণার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। বিকাশের মাধ্যমে তারা বিপুল টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলেও অভিযোগ আছে। এ বিষয়ে ডিএমপিতে অভিযোগ থাকায় একটি টিম এসে তাদের নিয়ে যায়। ঢাকায় নিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

আরএমপির মুখপাত্র রফিকুল আলম জানান, সোমবার দুই শিক্ষার্থীকে প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ঢাকার আদালতে হাজির করা হয়। আদালত দুজনের একদিন করে রিমান্ডও মঞ্জুর করেছেন।

রেজওয়ানের ভাই মিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমি গত শনিবার রাজশাহী এসে ছোট ভাইদের জোয়ানের ছাত্রাবাসে উঠেছিলাম। রোববার সকালে সাদা পোশাকে ৪-৫ জন ব্যক্তি এসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে রেজওয়ান এবং সাকিবের খোঁজ করেন। পরে তাদের পেয়ে এক দোকানির ব্যাপারে তারা জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পরবর্তীতে তাদের তুলে নিয়ে যান।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ‘যেহেতু ওই দুই শিক্ষার্থীকে ক্যাম্পাসের ভেতর থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়নি তাই আমাদের  অবগতও করা হয়নি। আর তারা কোনো অপরাধের সাথে সংশ্লিষ্ট কি না সে বিষয়টিও আমরা জানি না।’