সারা বাংলা

মানিকগঞ্জে ‘আর্জেন্টিনা বাড়ি’

শুরু হয়ে গেছে বিশ্বকাপ ফুটবল। সেই উন্মাদনায় পিছিয়ে নেই বাংলাদেশও। শহর থেকে গ্রামেগঞ্জে খেলার আমেজে মেতেছে নানা বয়সী মানুষ।আর এসব মানুষদের কেউ প্রিয় দলের পতাকা টাঙিয়েছেন, কেউ বা প্রিয় দলের জার্সি গায়ে আনন্দ র‌্যালিতে বের হচ্ছেন। 

তবে মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার গালা ইউনিয়নের কালই গ্রামের রুবায়েত রাসেল তার নিজের বাড়িটি প্রিয়দল আর্জেন্টিনার পতাকার রঙ্গে রাঙিয়েছেন। দূর দূরান্ত থেকে প্রতিদিন বাড়িটি দেখতে ছুটে আসছেন ফুটবল প্রেমীরা। প্রিয় দলের পতাকায় রাঙানো বাড়িটি দেখে উল্লাসে মেতেছে আর্জেন্টিনার সমর্থকরা। এরই মধ্যে বাড়িটি ‘আজেন্টিনা বাড়ি’ নামে পরিচিতি লাভ করেছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির সীমানা প্রাচীর ও একটি চারচালা ঘর আর্জেন্টিনা পতাকার আদলে রঙ করা হয়েছে। পাশেই উড়ছে দেশটির পতাকা। তবে সবার ওপরে রয়েছে বাংলাদেশের পতাকা। এছাড়া ফুটবল বিশ্বকাপের সবগুলো খেলা বড় পর্দায়( প্রজেক্টর) দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।  

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, চলতি মাসের শুরু থেকেই ২০২২ ফিফা বিশ্বকাপে আমেজ বইতে শুরু করে শহর গ্রামসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলে। রাসেলের বাড়ির নিরাপত্তা প্রাচীর ও চার চালা ঘড়টি রাঙানো হযেছে আর্জেন্টিনা দলের পতাকার রঙে । প্রিয় দলের খেলাকে ভালোবেসে এই কাকাজ করেছেন  রাসেল। তিনি আর্জেন্টাইন সমর্থক হলেও বড় পর্দায় সবগুলো খেলা দেখার ব্যবস্থা করেছেন তিনি।

মোশারফ হোসেন নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘একটি বেসরকারি কোম্পানিতে মার্কেটিংয়ে কাজের সুবাধে এ পথ দিয়েই যাচ্ছিলাম। হঠাৎ দেখি প্রিয় দলের পতাকার রঙে মোড়ানো এ বাড়ি। তাই মোটরসাইকেল রেখে কয়েকটা ছবি তুলে নিলাম বাড়িটির।’

তুহিন রহমান বলেন, ‘চায়ের দোকান, খেলার মাঠ কিংবা আড্ডায় বিশ্বকাপ ফুটবল। কে ভালো খেলবে কে শিরোপা নেবে এই নিয়ে হয় নানা গল্প। একেক জন তার প্রিয় দলের সমর্থনে নানান কথা বলেন। এদের মধ্যে রাসেল ভাই আর্জেন্টিনার সমর্থক হওয়াতে নিজ বাড়ি রাঙ্গিয়েছেন প্রিয় দলের পতাকার রঙে । এই বাড়িটি দেখতে জেলার বিভিন্ন স্থানে থেকে আর্জেন্টিনার সমর্থকরা আসেন । তা নিয়ে এলাকায় চলছে হৈচৈ।’

রুবায়েত রাসেলের স্ত্রী তানজিদা ইভা বলেন,‘আমাদের বাড়ীর সবাই ফুটবল খেলা পছন্দ করেন । আমার স্বামী  আর্জেন্টিনা দলের সমর্থক। উনার  স্বপ্ন ছিলো প্রিয় দলের পতাকার রঙে  নিজ বাড়ি রাঙাবেন, আর সেই থেকেই এটা করা।’

রুবায়েত রাসেল বলেন, ফুটবলের প্রতি নেশা অনেক বছর আগে থেকেই। ১৯৯৮ সালে প্রথম খেলা বুঝতে শুরু করি।আমি ছোট বেলা থেকেই আর্জেন্টিনা দলের  সমর্থক। আর সেই জন্য ভালোবেসে প্রিয় দলের পতাকার রঙে রঙিন করেছি নিজ বাড়িটি। আর এ কাজে খরচ হয়েছে ৩৫ হাজার টাকা। সময় লেগেছে ১৫ দিন।’

মানিকগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সুদেব কুমার সাহা বলেন, ‘রুবায়েত রাসেলের বাড়িটি তার নিজ দল আর্জেন্টিনাকে ভালোবাসার প্রতিফলন। ফুটবল পাগল না হলে এমন কাজ করা যায় না। সবাইকে নিয়ে খেলা দেখার আয়োজনটাও ভালো উদ্যোগ।’