সারা বাংলা

পুলিশের ধাওয়া খেয়ে নিখোঁজ, ৪ দিন পর লাশ উদ্ধার 

ভোলার দৌলতখান উপজেলায় জুয়া খেলার সময়  পুলিশের ধাওয়া খেয়ে মেঘনা নদীতে পড়ে নিখোঁজ হওয়া যুবক নোমানের লাশ ৪ দিন পর ঘটনাস্থলে ভেসে উঠেছে।

রোববার (২৭ নভেম্বর) সকালের দিকে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে তার ভাসমান লাশ দেখতে পান।ঘটনাস্থলে স্বজনরা তার লাশ শনাক্ত করেছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

এ ঘটনায় এর আগে মো. রাসেল ও সজীব নামে দৌলতখান থানার দুই পুলিশ কনস্টেবলকে বরখাস্ত করে ভোলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। দৌলতখান থানা থেকে প্রত্যাহার করে ভোলা পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) স্বরূপ কান্তি পাল ও সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. সোহেল রানাকে।

দৌলতখান থানার ডিউটি অফিসার (এসআই) আবু হানিফ লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। পরিবার নোমানের লাশ শনাক্ত করেছে।

এদিকে নোমানের লাশ উদ্ধারের পর স্বজনদের আহাজারিতে শোকের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। স্বজনরা এ ঘটনায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের কঠিন বিচারের দাবি জানাচ্ছেন।

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) দুপুর ১টার দিকে দৌলতখান উপজেলার পাতার খাল মাছ ঘাট সংলগ্ন মেঘনা নদীর তীরবর্তী এলাকায় নোমানসহ বেশ কয়েকজন জুয়া খেলছিলো। এসময় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অবগত না করেই বরখাস্ত হওয়া পুলিশ সদস্য ও ক্লোজড হওয়া পুলিশ কর্মকর্তারা নোমানদের জুয়ার আসরে গিয়ে তাদেরকে ধাওয়া করে। পুলিশের ধাওয়া খেয়ে মেঘনা নদীতে নোমানসহ আরো কয়েকজন পড়ে যায়। তাদের মধ্যে সবাই সাঁতরে তীরে উঠে আসতে পারলেও নোমান উঠে আসতে পারেনি। এরপরই নিখোঁজ হন নোমান।