সারা বাংলা

বাবার লাশ রেখে পরীক্ষা দিতে যাওয়া মিরাজের জিপিএ ৫ অর্জন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় বাবার লাশ বাড়িতে রেখে এসএসসি পরীক্ষা দিতে যাওয়া মাহিদুল হোসেন খান মিরাজ পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে। সোমবার (২৮ নভেম্বর) এসএসসির ফল প্রকাশের পর দুপুরে এ তথ্য জানা যায়।

মাহিদুলের বাবা মোতাহের হোসেন খান আখাউড়া উপজেলার দেবগ্রামের বাসিন্দা ও আখাউড়া পৌর এলাকার রাধানগরে অবস্থিত গ্রিন ভ্যালি স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবসায়ী ছিলেন। 

মাহিদুল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। পরিবার আখাউড়া থাকলেও মাহিদুল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের কাউতলী এলাকার মামার বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করেছেন। গত ২১ সেপ্টেম্বর তার বাবা মোতাহের হোসেন মারা যান।

গত ২১ সেপ্টেম্বর দুপুরে মোতাহের হোসেন অসুস্থবোধ করেন। ওই দিন সন্ধ্যায় দেবগ্রামের নিজ বাড়িতে তিনি মারা যান। পরের দিন ২২ সেপ্টেম্বর বিকেলে আসর নামাজের পর দেবগ্রাম পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তার জানাজা হয়। সন্ধ্যার ৬টার দিকে দেবগ্রামের কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়।

মিরাজের মামা আরিফুল ইসলাম জানান, বাবা মারা যাওয়ার পরপরই গ্রামের বাড়িতে চলে আসে মাহিদুল। সারা রাত বাবার লাশের পাশে ছিল। সকালে বাবার লাশের কফিন ছুঁয়ে পরীক্ষা দিতে গিয়েছে। বাবা মাহিদুলকে খুব আদর করতেন।

মাহিদুল হোসেন খান বলেন, ‘এসএসসি পরীক্ষা জিপিএ ৫ পেয়েছি। আনন্দ লাগছে। বাবা থাকলে আরও ভালো লাগত। কারণ বাবা আমার ফলাফল ও পড়াশোনা নিয়ে উচ্ছ্বসিত ছিলেন। বড় হয়ে আমি বাবার স্বপ্ন পূরণে প্রকৌশলী হতে চাই।’ 

মাহিদুলের মা তাসলিমা বেগম বলেন, ‘ছেলের ফলে আমি ভীষণ খুশি। ওর বাবা বেঁচে থাকলে তিনিও খুশি হতেন।’