সারা বাংলা

পঞ্চগড়ে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রক্সিতে পাস, ভাইভায় ধরা

পঞ্চগড় জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় প্রক্সির মাধ্যমে উত্তীর্ণ হলেও মৌখিক পরীক্ষায় এসে ধরা পড়েছে মোছা. ইয়াসমিন (২১) ও মৌসুমী আক্তার (২৮) নামে দুই চাকরি প্রত্যাশী। এ ঘটনায় জড়িত আরও দুইজনকে আটকসহ মোট ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক বিপ্লব বড়ুয়া বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা করেন। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলা হাজতে পাঠানো হয়।

সোমবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মৌখিক পরীক্ষা দিতে এসে ধরা পড়ে ইয়াসমিন এবং মৌসুমী। ইয়াসমিন আটোয়ারী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের তেলীপাড়া গ্রামের ইসলাম উদ্দীনের মেয়ে। মৌসুমী একই ইউনিয়নের নলপুকুরী গ্রামের লতিফুর রহমানের মেয়ে। 

অপর তিন আসামি হলেন- ইয়াসমিনের স্বামী এএইচআর মাসুদ রয়েল (২৮), ভাই সাইদুর রহমান (২৪) এবং দুলাল নামের এক ব্যক্তি। তাদের মধ্যে দুলাল পলাতক রয়েছেন। 

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২৫ নভেম্বর পঞ্চগড়ে পরিবর কল্যাণ সহকারী পদে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা হয়। ওই পরীক্ষায় ইয়াসমিন এবং মৌসুমী উত্তীর্ণ হন। নিয়ম অনুযায়ী তারা ২৮ নভেম্বর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে আসে। কিন্তু তাদের কথা বার্তায় অসংলগ্নতা প্রকাশ পায়। এক পর্যায়ে তাদের লিখতে দেওয়া হয় কিন্তু লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্রের সঙ্গে তাদের লেখার মিল না থাকায় নিয়োগ বোর্ডের সন্দেহ হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা স্বীকার করেন তাদের হয়ে অন্য কেউ লিখিত পরীক্ষা দিয়েছেন।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, ইয়াসমিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি জানান- তার ভাই সাইদুর রহমান এবং স্বামী এএইচআর মাসুদ রয়েল তাকে লিখিত পরীক্ষায় প্রক্সির মাধ্যমে পাস করাতে সহায়তা করেছেন। পরে ভাইবা বোর্ড কৌশলে সাইদুর এবং মাসুদ রয়েলকে ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তারা জানান- পঞ্চগড় সদরের ধাক্কামারা এলাকার দুলাল নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে ১২ লাখ টাকার চুক্তি হয় ইয়াসমিনের চাকরির জন্য।

পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।