সারা বাংলা

দুবলার চরে নৌপুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন করা হবে : নৌপুলিশ প্রধান

নৌপুলিশের প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক মো. শফিকুল ইসলাম বলেছেন, মৎস্য সম্পদ ও জেলেদের নিরাপত্তায় সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের দুবলার চরে নৌপুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন করা হবে।  

বুধবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে আলোরকোলে শুটকী আহরণে নিয়োজিত জেলেদের সঙ্গে মতবিনিময়সভায় তিনি এসব কথা বলেন। 

দুবলা ফিশারম্যান গ্রুপের সভাপতি এসএম কামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময়সভায় অতিরিক্ত ডিআইজি পঙ্কজ চন্দ্র রায়, মো, শফিকুল ইসলাম, নৌপুলিশ খুলনা জোনের পুলিশ সুপার মো. শরিফুর রহমানসহ নৌপুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। মতবিনিময় সভায় দুবলার চরে শুটকী আহরণে নিয়োজিত সহস্রাধিক জেলে অংশ নেন। 

অংশগ্রহণকারী জেলেরা বলেন, দুবলার চরে তাদের আশ্রয়কেন্দ্র, সুপে পানিসহ নানা সংকট রয়েছে। এসব সংকট নিরসনে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন জেলেরা। 

দুবলা ফিশারম্যান গ্রুপের সভাপতি এসএম কামাল উদ্দিন বলেন, বিপুল সংখ্যক জেলে জীবন বাজি রেখে বঙ্গোপসাগরে মাছ আহরণ করে শুটকি তৈরি করে। কিন্তু এই জেলেদের সুযোগ-সুবিধা খুবই কম। 

জেলেদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আশ্রয়কেন্দ্র ও সুচিকিৎসার জন্য দুবলার চরে মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপনের দাবি জানান তিনি। 

দেশের উন্নয়ন ও সুন্দরবন রক্ষায় জেলেদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, পরিবার-পরিজন ছেড়ে জেলেরা ৫ মাসের জন্য সুন্দরবনে থাকেন। এই সময়ে দুবলার চর থেকে বিপুল পরিমাণ শুটকি আহরণ করা হয়। যা দেশে-বিদেশে বিক্রি হয়। জেলেদের এই অর্থনৈতিক কর্মকান্ড দেশের উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। 

তিনি আরও বলেন, ‘সুন্দরবন ও জেলেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দুবলার চরের আলোরকোলে নৌপুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন করা হবে। এ সংক্রান্ত বেশ কাজ এগিয়েছে। আশা করি, আমরা খুব দ্রুত জায়গা নির্বাচন করে কাজ শুরু করতে পারবো।’  

অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক শফিকুল ইসলাম মতবিনিময় ছাড়াও সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের হাড়বাড়িয়া ইকোটুরিজম কেন্দ্র, হিরণ পয়েন্ট ইকোটুরিজম কেন্দ্র ও চাঁদপাই নৌ থানা পরিদর্শন করেন।