সারা বাংলা

রাজশাহীর সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা

পরিবহন ধর্মঘটকে উপেক্ষা করেই গণসমাবেশে যোগ দিতে রাজশাহীতে আসতে শুরু করেছেন বিএনপির বিভিন্ন জেলার নেতাকর্মীরা। ভটভটি, নছিমন, সিএনজি চালিত অটোরিকশা, থ্রি-হুইলার, মোটরসাইকেলসহ যে যা পাচ্ছেন তাতে করেই সমাবেল স্থলে আসছেন। 

এদিকে অনেক স্থানেই যানবাহন থেকে পুলিশ নেতাকর্মীদের নামিয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।

নওগাঁ সদর থেকে সমাবেশে যোগ দিতে এসেছেন মো. আবুজার (৬৬) নামের এক ব্যক্তি। তিনি বলেন, ‘গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় নওগাঁ থেকে আমরা ১২ জন সমাবেশে যোগ দিয়ে একসঙ্গে রওনা দেই রিকশায় করে। বান্দাঘরা এলাকায় এসে রিকশা থেকে নেমে সিএনজিতে উঠি। এরপর বাগমারায় এসে নামি। সেখান থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় মোহনগঞ্জ আসার পর আবারও সিএনজিতে উঠি। এরপর সমাবেশস্থলে এসে পৌঁছেছি।’ 

বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলা শ্রমিক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় মোটরসাইকেল নিয়ে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে রওনা করি। ১১৫ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে রাজশাহীতে পৌঁছেছি রাত ৯টার দিকে। পুলিশ পথে পথে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি করছে।’ 

নওগাঁর পত্মীতলা উপজেলার নিতপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মতিন একটি দল নিয়ে এসেছেন গরু বহনকারী নছিমনে চেপে। মতিন বলেন, ‘তিন জায়গায় পুলিশ বাধা দিয়েছে। আমরা বাধা মানিনি। চলে এসেছি।’

নাটোরের সিংড়া উপজেলার বেলোয়া গ্রামের বাসিন্দা আকবর আলী বলেন, ‘থ্রি-হুইলারে আসার সময় পুলিশ রাজশাহীর প্রবেশমুখ কাটাখালী এলাকায় নামিয়ে দিয়েছে। সেখান থেকে আমরা ১৬ জন প্রায় ১০ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে সমাবেশস্থলে এসে পৌঁছেছি। এতে অনেক কষ্ট হয়েছে। কারণ, আমাদের সঙ্গে ব্যাগপত্র, চাল, ডাল, লাকড়িসহ অন্য জিনিসপত্র ছিল।’

রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র রফিকুল আলম বলেন, ‘অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ রাজশাহী শহরের সবগুলো প্রবেশপথেই চেকপোস্ট বসিয়েছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের সমাবেশে আসতে বাধা দেওয়া হচ্ছে এমন অভিযোগ সঠিক নয়। কিন্তু অবৈধ যানবাহন, যেগুলো শহরে ঢোকা নিষেধ, সেগুলো আটকে দেওয়া হচ্ছে।’

প্রসঙ্গত, শনিবার (৩ ডিসেম্বর) রাজশাহীর মাদরাসা মাঠে (হাজী মুহম্মদ মুহসীন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ) বিএনপির সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। বর্তমানে সমাবেশ উপলক্ষে সেখানে মঞ্চ এবং মাঠ প্রস্তুতের কাজ চলছে। গত বুধবার রাত থেকেই দূর-দূরান্ত থেকে যেসব নেতাকর্মী এসেছেন তারা সমাবেশ স্থলের পাশের ঈদগাহ মাঠে অবস্থান নিতে শুরু করেছেন।