সারা বাংলা

খুলনা বেতারের ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে রোববার (৪ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ বেতার খুলনা কেন্দ্রের ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী।

বিভাগীয় কমিশনার জিল্লুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ বেতার এ দেশের সুপ্রাচীন ও  বৃহত্তম শক্তিশালী গণমাধ্যম। সময়ের পরিক্রমায় তথ্যপ্রযুক্তির এ যুগে বেতারের কদর এতটুকুও কমেনি বরং তার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। বেতারের সব অনুষ্ঠান মানুষ মনযোগ দিয়ে শোনেন। বেতারের মাধ্যমেই পৃথিবীর দুর্গম স্থানের শ্রোতার কাছে তথ্য পৌঁছানো সম্ভব। বাংলাদেশ বেতার সূচনালগ্ন থেকে দেশ, সমাজ ও সংস্কৃতির বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের বলিষ্ঠ ভূমিকায় মুক্তিযোদ্ধারা উদ্বুদ্ধ ও উৎসাহিত হয়েছিলেন।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ প্রথমে এই বেতারের মাধ্যমে প্রচার করা হয়। জাতির পিতার এই ভাষণ মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশের মানুষকে একত্রিত করেছিলো। সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে বেতারকে আরো বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে হবে।’ 

বাংলাদেশ বেতার খুলনা কেন্দ্রের আঞ্চলিক পরিচালক নিতাই কুমার ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) মো. সাজিদ হোসেন, বাংলাদেশ বেতারের উপ-বার্তা নিয়ন্ত্রক মো. নুরুল ইসলাম, খুলনা বেতারের আঞ্চলিক প্রকৌশলী তাজুন নিহার আক্তার, সাবেক আঞ্চলিক প্রকৌশলী কাজী হামিদুল ইসলাম, অধ্যাপক সুশান্ত সরকার, নাট্য শিল্পী মোখলেসুর রহমান বাবলু, সংগীত শিল্পী শেখ মো. আব্দুস ছালাম প্রমুখ। 

এসময় খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিসের উপপ্রধান তথ্য অফিসার এ এস এম কবীর হোসেন, ও বেতারের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ শিল্পী-কলাকুশলীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে বেতারের শিল্পীরা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন। 

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ বেতার খুলনা কেন্দ্র ১৯৭০ সালের ৪ ডিসেম্বর নগরীর গল্লামারী এলাকায় যাত্রা শুরু করে।