সারা বাংলা

মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেলেন মেঘনায় অপহৃত জেলেরা

ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার মেঘনা নদী থেকে অপহরণের শিকার ১৫ জেলে মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন। রোববার (৪ ডিসেম্বর) বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে তারা নিজ নিজ বাড়িতে ফেরেন।

এর আগে, গতকাল নিখোঁজ জেলেদের পরিবারের সদস্যরা বিকাশের মাধ্যমে মুক্তিপণের টাকা দেন। এসময় টাকা দিতে দেরি হওয়ায় জলদস্যুরা জেলেদের শারীরিক নির্যাতন করেন।

অপহরণের পরে মুক্তিপণ দিয়ে বাড়ি ফিরে আসা জেলেরা হলেন- আলাউদ্দিন, হাসান, সালাউদ্দিন, ইউসুফ, লোকমান, হান্নান, আরিফ, হাসেম ও মিরাজ। বাকিদের নাম জানা যায়নি।

জেলেরা জানান, মুক্তিপণের টাকা পাওয়ার পর তাদের মাঝির ঘাট নামের একটি নির্জন জায়গায় নামিয়ে দেওয়া হয়। পরে তারা বাড়ি ফিরে আসেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলে বলেন, ‘অপহরণের পর ১৫ জেলেকে ভোলার তুলাতলির পূর্ব পাশে মেঘনার একটি চরে নৌকার মধ্যে বেঁধে রাখে জলদস্যুরা।’

জেলেদের স্বজনরা জানান, জলদস্যুরা জেলেদের ব্যাপক মারধর করে আড়তদার ও স্বজনদের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলতে দেয়। এসময় এক লাখ টাকা করে মুক্তিপণ দাবি করা হয়। পুলিশকে কোনো তথ্য জানালে কাউকে জীবিত রাখা হবে না বলেও হুঁশিয়ারি করা হয়।

আড়তদাররা জানান, প্রতি জেলেকে মুক্তির জন্য ৩০ থেকে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত মুক্তিপণ দিতে হয়েছে। এসব টাকা পরিশোধের জন্য জলদস্যুরা আটটি বিকাশ নম্বরে পাঠায়।

নম্বরগুলো হচ্ছে- 01791476008, 01791669995, 01877244688, 01758112958, 01315394659, 01788185972, 01717792257, 01811144432।

তজুমদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাকসুদুর রহমান মুরাদ বলেন, ‘অপহৃত জেলেরা বাড়ি ফিরেছে। তাদের আইনগত সহায়তা নেওয়ার জন্য বলা হলেও এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। তবে, জলদস্যুদের কিছু বিকাশ নম্বর দিয়েছে। সেগুলো যাচাই করা হচ্ছে।’

উল্লেখ, গত শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) তজুমদ্দিন উপজেলার মেঘনা নদীতে মাছ ধরার সময় ১৫ জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে যায় জলদস্যুরা।

আরো পড়ুন: মেঘনা নদী থেকে ১৫ জেলেকে অপহরণ