সারা বাংলা

বোয়ালমারীকে মডেল উপজেলা গড়তে চান জেলা প্রশাসক

ফরিদপুর জেলার নবাগত জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার মতবিনিময়সভা ও বিভিন্ন কর্মসূচিতে যোগ দিতে বোয়ালমারী উপজেলায় আসেন।

সোমবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় জেলা প্রশাসক বোয়ালমারী পৌঁছে প্রথমে উপজেলা পরিষদ চত্বরে অবস্থিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে উপজেলা পরিষদ হলরুমে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা পরিষদের আয়োজনে মতবিনিময়সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মতবিনিময় সভায় বীরমুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও সুধী সমাজের ব্যক্তিরা যোগ দেন।

এ সময় সমবায় অধিদপ্তর কর্তৃক দুগ্ধ সমবায় সমিতির সদস্যদের মাঝে ঋণের চেক, প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বোরো ধানের উচ্চ ফলনশীল জাতের বীজ ও রাসায়নিক সার এবং শীতার্তদের মধ্যে কম্বল বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন তিনি।

বোয়ালমারী উপজেলা নিবার্হী অফিসার মোশারেফ হোসাইনের সভাপতিত্বে আয়োজিত মতবিনিময় ও কর্মসূচি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. কামরুল আহসান তালুকদার।

বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এম মোশাররফ হোসেন মুশা মিয়া।

শাহ জাফর টেকনিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ মো. লিয়াকত হোসেন লিটনের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বোয়ালমারী পৌরসভার মেয়র সেলিম রেজা লিপন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ রাসেল রেজা, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল ওহাব, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাহান মীরদাহ পিকুল, কৃষি কর্মকর্তা প্রীতম কুমার হোড়, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা তাপস শাখারী প্রমুখ।

জেলা প্রশাসক তার বক্তব্যে বলেন, এই ফরিদপুর জেলায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মগ্রহণ করেন। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। তার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। 

তিনি আরো বলেন, ‘আমি ফরিদপুর থাকাকালীন বোয়ালমারীকে মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলবো।’

তিনি সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘কোনো সরকারি দপ্তরে এসে কেউ যেন হয়রানির শিকার না হয়। কারণ জনগণের ট্যাক্সের টাকায় আমাদের বেতন হয়। কেউ হয়রানির শিকার হলে সঙ্গে সঙ্গে আমাকে জানাবেন।’

বোয়ালমারী উপজেলায় কোনো বাল্য বিবাহ ঘটলে, কেউ ইভটিজিং করলে অথবা স্কুল চলাকালীন সময়ে কোনো ছাত্র-ছাত্রী স্কুল ড্রেস ছাড়া বাইরে আড্ডা দিলে তাকে আটক করার জন্য প্রশাসনকে নির্দেশ দেন ডিসি।

পরে জেলা প্রশাসক উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ৮৫০ জন দরিদ্র কৃষকের মাঝে ৫ কেজি করে বোরো ধানের বীজ, ১০ কেজি করে ডিএপি ও এমপি সার এবং ৩ হাজার ৫০০ জন কৃষকের মাঝে ২ কেজি করে হাইব্রিড ধানের বীজ বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। 

এ ছাড়া সমবায় অধিদপ্তর কর্তৃক দুগ্ধ সমবায় সমিতির ৮ জনের প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে ঋণের চেক বিতরণ করেন। 

এ ছাড়া উপজেলা ভূমি অফিসের পক্ষ থেকে ১৪৫ জন শীতার্ত মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ কর্মসূচি এবং বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক আয়বর্ধণমূলক কর্মকান্ডের ঋনের চেক বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।