সারা বাংলা

কালীগঞ্জ মাতালো ‘জলের গান’

পুরো দল নিয়ে যখন মঞ্চে উঠলেন ‘জলের গান’ এর রাহুল আনন্দ, তখন ঘড়ির কাটায় সন্ধ্যা পৌনে ৭টা বাজে। আর এর মধ্যে কালীগঞ্জ রাজা রাজেন্দ্রনারায়ণ (আরআরএন) পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ কানায় কানায় ভর্তি হয়ে গেছে। রাহুল মঞ্চে উঠে দেখেন পুরো মাঠজুড়ে নিরব নিস্তব্ধ। নীরবতা ভেঙে সরব হোন রাহুল আনন্দ।

তিনি বলেন, কালীগঞ্জে এটাই জলের গানের প্রথম পারফর্ম। জলের গানের জলের ধারা কালীগঞ্জ পর্যন্ত প্রবাহিত হয়েছে। কালীগঞ্জের মানুষের রুচিবোধ দেখে আমরা মুগ্ধ এবং বিমোহিত। যতক্ষণ মঞ্চে থাকি থাকি আমি আনন্দ, ততক্ষণ চেষ্টা করব কালীগঞ্জের মানুষের সাথে বিজয় দিবসের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য। কালীগঞ্জে মানুষ খুবই শান্তিপ্রিয়। তাদের সাথে ভালো কিছু সময় কাটালো। বেঁচে থাকলে আবারো দেখা হবে কালীগঞ্জের শান্তিপ্রিয় মানুষের সাথে। জয় হোক কালীগঞ্জবাসীর।

এরপর জলের গান একে একে গেয়ে শোনায়-ঝরা পাতা, তেপান্তর, পিঠাপুলি, কাগজের নৌকা, তাল পাখার বাতাস, এমন যদি হতো, ঢাকানামা, বকুল ফুল ও পাতার গানসহ বেশকিছু জনপ্রিয় গান। এরপর তারা যখন মঞ্চ ছাড়েন ঘড়ির কাটায় তখন প্রায় রাত ৯টা।

শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত বিজয় দিবসের কনসার্টে কালীগঞ্জ আরআরএন পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পারফর্ম করেন ব্যান্ড দল ‘জলের গান’। 

কালীগঞ্জে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আসসাদিকজামানের সভাপতিত্বে আনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি এমপি।

এ সময় ইউএনও ছাড়াও কালীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) উম্মে হাফসা নাদিয়া, থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনিসুর রহমান, কালীগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান আরমান এবং উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, গণমাধ্যমকর্মী, স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাসহ কয়েক হাজার নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।