সারা বাংলা

৯ ডাকাত গ্রেপ্তার, চোরাই সোনা-রূপা উদ্ধার

পাবনার ঈশ্বরদীতে স্বর্ণের দোকানে চুরির ঘটনায় ডাকাত চক্রের ৯ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে চোরাই সোনা, রূপা ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়।

বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনশী।

গ্রেপ্তার হওয়া ডাকাতরা হলেন- বাগেরহাটের শরনখোলা উপজেলার মধ্য খোন্তাকাটা গ্রামের শহিদুল হাওলাদার (৪৯), একই গ্রামের আব্দুল মালেক (৪০), বাবুল হাওলাদার ওরফে ভারানী বাবুল (৫২), বাবুল হাওলাদা ওরফে বোকদা বাবুল (৫০), নাটোর সদর উপজেলার পারখোলাবাড়িয়া গ্রামের সাঈদ আলী (৫৭), একই উপজেলার হৈবতপুর গ্রামের জালাল উদ্দিন (৩৭), বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার মোরশেদ সড়ক শেহলাবুনিয়া গ্রামের রুস্তম আলী শেখ (৬০), শরণখোলা উপজেলার ধানসাগর গ্রামের শান্ত মিস্ত্রি (২০) ও মোরেলগঞ্জ উপজেলার খেজুরবাড়িয়া গ্রামের বাবুল কুলু (৫৩)।

পুলিশ সুপার আকবর আলী জানান, গত ২৯ নভেম্বর রাতে ঈশ্বরদী উপজেলার আওতাপাড়া বাজারের মল্লিকা জুয়েলার্সে ডাকাতি হয়। ডাকাতরা মূলত কাপড়ের দোকানের ভেতর প্রবেশ করে দেওয়াল ছিদ্র করে ওই স্বর্ণের দোকানে প্রবেশ করে। এঘটনায় ৩ ডিসেম্বর ঈশ্বরদী থানায় মামলা হয়। এরপরই অভিযানে নামে পুলিশ। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ২৫ থেকে ২৭ ডিসেম্বর তিনদিন অভিযান চালিয়ে রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গা, বাগেরহাট, নাটোর জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ডাকাতচক্রের ৯ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের কাছ থেকে ৬ ভরি ৫ আনা সোনা, ৫০ ভরি রূপা, স্বর্ণ বিক্রির ৭ লাখ ৯০ হাজার টাকাসহ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্চাম উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরো জানান, গ্রেপ্তার হওয়াদের মধ্যে শহিদুলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি সহ ১০টি, মালেকের বিরুদ্ধে ৭টি, ভারানী বাবুলের বিরুদ্ধে ১০টি, বোকদা বাবুলের বিরুদ্ধে ৮টি, সাঈদের বিরুদ্ধে ৩টি, জালালের বিরুদ্ধে ৩টি, রুস্তমের বিরুদ্ধে ৩টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে পাবনা জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।