সারা বাংলা

মনু মিয়ার ভাপা পিঠা

হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ দাউদনগর বাজারে দেখা মেলে পিঠা বিক্রেতা মনু মিয়ার। সড়কের পাশে ভ্যানগাড়িতে ভাপা পিঠা তৈরি করে বিক্রি করছিলেন তিনি। শীতের বিকেলে তার ভাপা পিঠার দোকানে বেচাকেনা ছিলো বেশ জমজমাট।

মনু মিয়া বলেন, ‘প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত আমি পিঠা বিক্রি করি। দৈনিক কমপক্ষে ৬০০ থেকে ৮০০ পিঠা বিক্রি করতে হয়। প্রতি পিস পিঠা বিক্রি হচ্ছে ৫ টাকায়। স্থানীয় লোকজনরাই আমার পিঠার মূল ক্রেতা।’ 

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ভাপা পিঠা বিক্রেতা হিসাবে মনু মিয়া পরিচিত মুখ। তিনি পিঠা তৈরি করেন পরিস্কার পরিছন্নভাবে। আর এ পিঠা খেয়ে শীতের আমেজ উপভোগ করছেন ক্রেতারা। আতপ চালের গুড়া, গুড়, নারকেলই এ পিঠা তৈরির উপাদান।  মনু মিয়া বললেন, আমার এ পিঠায় কোনো ধরনের ভেজাল নেই।  

জেলার শায়েস্তাগঞ্জের সুদিয়াখলা গ্রামের বাসিন্দা মনু মিয়া প্রায় ২১ বছর ধরে পিঠা বিক্রি করছেন। তার সংসারে রয়েছে ৪ সন্তান। পিঠা বিক্রির আয়ে পরিবার নিয়ে তিনি ভালোই আছেন তিনি। লোকজন শীতে ভাপা পিঠা বেশি পরিমাণে খেতে পছন্দ করে। এ কারণে শীতের শুরু থেকে রিকশা ভ্যানে ভাপা পিঠা তৈরি করে বিক্রি করছি।

ভাপা পিঠা খেয়ে প্রশংসা করে ক্রেতা মো. সেলিম মিয়া বলেন, ‘বাড়িতে পিঠা তেমন একটা তৈরি হয় না। তাই প্রায়ই মনু মিয়ার দোকানে এসে পিঠা খেয়ে যাই।’