ঘন কুয়াশার কারণে সাড়ে তিন ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুর পৌনে ২টার দিকে বিমান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এর আগে, একই দিন সকাল ১০টার দিকে কুয়াশার ঘনত্ব বেড়ে যাওয়ায় সৈয়দপুর বিমানবন্দরে কোনো ফ্লাইট অবতরণ ও উড্ডয়ন করতে পারেনি।
এদিকে বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় এই বিমানবন্দরে বাংলাদেশ বিমান, ইউএস-বাংলা ও নভোএয়ারের চারটি ফ্লাইটের ঢাকাগামী দুই শতাধিক যাত্রী দুর্ভোগে পড়েন।
বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়েছে উত্তরের জেলা নীলফামারী। সপ্তাহজুড়ে প্রায় প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে পরদিন দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকছে এই জনপদ। সকাল ৯টায় বিমানবন্দর এলাকায় দৃষ্টিসীমা ছিল মাত্র ৫০ মিটার। দুপুর ১২টার দৃষ্টিসীমা ছিলো ২০০ মিটার। যা দুপুর দেড়টায় বেড়ে দাঁড়ায় ১৭০০ মিটারে।
বিমানবন্দরের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন ম্যানেজার মজিবুর রহমান বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে বিমানবন্দরে সকাল ১০টা থেকে দুপুর পৌনে ২টা পর্যন্ত ৫টি ফ্লাইট সঠিক সময়ে অবতরণ ও উড্ডয়ন করতে পারেনি। কুয়াশা কেটে যাওয়ায় ফ্লাইটগুলো বিমানবন্দরে অবতরণ ও উড্ডয়ন স্বাভাবিক হয়।
তিনি আরও বলেন, শীতকালে বৈরী আবহাওয়ার কারণে প্রায়ই বিমান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। এজন্য ফ্লাইট চলাচলের সিডিউল পরিবর্তন করা হয়েছে। তবে কোনো ফ্লাইট বাতিল করা হয় না। সাধারণত ২ হাজার মিটার দৃষ্টিসীমা থাকলে রানওয়েতে বিমান ওঠানামা করতে পারে।
ডিমলা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ সুবল চন্দ্র রায় বলেন, আজ সকালে নীলফামারীতে সর্বনিম্ন ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা এই মৌসুমে নীলফামারী জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে সড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে যানবাহন চলাচল করছে। ফলে দূরপাল্লার নৈশকোচগুলো গন্তব্যে পৌঁছাতে দুই থেকে তিন ঘণ্টা দেরি হচ্ছে।