সারা বাংলা

চাঁপাইনবাবগঞ্জে শীতের দাপটে জনজীবন বিপর্যস্ত

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বেশ কয়েকদিন ধরেই শীতের দাপটে খেটে খাওয়া দিনমজুরসহ নিম্ন আয়ের মানুষ চরম বিপাকে পড়েছেন। বিশেষ করে নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত চরাঞ্চলের বাসিন্দারা শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। 

আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশায় সূর্যের দেখা নেই, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তীব্র শীত

এদিকে এই তীব্র শীতেও জেলা প্রশাসন এখনও কম্বল বিতরণের কার্যক্রম শুরু করেনি। শিগগির বড় পরিসরে কম্বল বিতরণের কার্যক্রম শুরুর দাবি শীতার্ত মানুষদের।

জানা গেছে, গত ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে চাঁপাইনবাবগঞ্জে মুষলধারে বৃষ্টি হয়। সেদিন থেকেই উত্তরের এই জেলাতেও শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করে। বছরের প্রথম দুদিনই কুয়াশায় সূর্যের দেখা মেলেনি। এছাড়াও গেলো ৩ দিন ধরে বেলা হয়ে সূর্যের দেখা মিললেও, উত্তাপ ছিলোনা। এছাড়াও সন্ধ্যা হলেই বইছে হিমেল হাওয়া। 

আবহাওয়া অফিস সুত্রে জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জে কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা সর্বনিম্ন ১২ আর সর্বোচ্চ ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে উঠানামা করছে। আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে তাপমাত্রা ছিল ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

পড়ুন: উত্তরে জেঁকে বসেছে শীত, হাসপাতালে রোগীদের ভিড়

বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) আবুল কালাম বলেন, ভোরে ক্ষেত থেকে শীতকালীন সবজি তুলে বিক্রি করতে বাজারে আসতে হয়। খুব ঠাণ্ডা লাগে, মাঠে কাজ করতে কষ্ট হয়। পেটের দায়ে ঘর থেকে বের হতে হয়। না হলে এত শীতে কেউ ঘর থেকে শখ করে বের হবে না।

মিজান নামের এক রিকশাচালক বলেন, গত তিন ধরে কুয়াশা নেই, তবে খুব ঠাণ্ডা আছে। বাতাসও হচ্ছে। রিকশা চালাতে কষ্ট হচ্ছে। মানুষও বাড়ি থেকে বের হয় না, ভাড়াও মারতে পারি না। বাতাসের মধ্যে একটা জায়গায় বসে থাকতে হচ্ছে।

চরাঞ্চলের বাসিন্দা মাকসুদা বেগম বলেন, শীতে খুব কষ্ট হয়, বাতাস প্রচুর। দিনে কয়েকবার এলাকার লোকজন খড়কুটা সংগ্রহ করে আগুন পোহায়। নদী ভাঙনে এলাকার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। এখনও এই এলাকার মানুষের সাহায্য সহযোগীতায় এগিয়ে আসেনি কেউ। 

শরিফুল ইসলাম নামের ভ্যানচালক বলেন, গত দুবছর আগে একটা কম্বল নিয়েছিলাম, এই ভাবে চলছে। এখন পর্যন্ত কেউ কিছু দেয়নি, সরকারি কম্বলগুলো দিন মজুর মানুষেরা পেলে তারা খুব খুশি হতো।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের উপ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক গালিভ খান সরাসরি কম্বল বিতরণ কার্যক্রমে অংশ নেননা বলে জানিয়েছেন।

জেলা প্রশাসক বলেন, জেলার সব উপজেলায় কম্বল দেওয়া হয়েছে, ইউএনওরা তাদের মতো করে বিতরণ করছেন। চরাঞ্চলের মানুষদেরও কম্বল দেওয়া হয়েছে।'

পড়ুন: দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রিতে, বইছে ঠান্ডা হাওয়া     এখন পর্যন্ত জেলায় প্রায় ২৪ হাজার জনকে কম্বল দেওয়া হয়েছে বলে জানান ডিসি গালিভ।