সারা বাংলা

গাইবান্ধায় বেড়েছে অটোবাইকের দাপট, ভোগান্তিতে শহরবাসী

গাইবান্ধা শহর ও মহাসড়কসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়কগুলোতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অনুমোদনহীন ব্যাটারি চালিত অটোবাইক। এতে সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজনট। ফলে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন শহরবাসী।

নিয়ম-নীতি তোয়াক্কা না করেই সর্বত্র দাপিয়ে বেড়ানো এসব যানবাহনের কারণে সড়করে ওপর যেমন চাপ বাড়ছে, তেমনি  যত্রতত্র গাড়ি পার্কিংয়ে গাইবান্ধা শহরে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়াও ব্যাটারি চালিত যানবাহনের সংখ্যা বাড়ায় বিদ্যুতের ওপর চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিটি সড়ক ও মহাসড়কে অবাধে চলাচল করছে ব্যাটারি চালিত রিকশা, অটোবাইক এবং ইজিবাইক। পৌর এলাকার গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোও দিনরাত দখল করে রাখছে অনুমোদনহীন এসব বাহন। অটোবাইক-ইজিবাইকের দৌরাত্ম্যে শহরে দেখা দিচ্ছে যানজট। যা নিয়ন্ত্রণে হিমশিম অবস্থা ট্রাফিক পুলিশের।  

অদক্ষ চালক ও পৌর শহরের ধারণ ক্ষমতার কয়েকগুন অটোরিকশা চলাচল করায় তীব্র যানজটের শহরে পরিণত হয়েছে রাস্তাগুলো বলে মনে করছেরন শহরবাসী। 

গাইবান্ধা জেলা শহরের প্রবেশদ্বার ডিসি অফিস থেকে শুরু করে বাসস্ট্যান্ড, ডিবি রোড়, ১ নম্বর রেলগেট, সার্কুলার রোড হয়ে পুরাতন জেলখানা মোড় ও পুরাতন ব্রিজে সব সময় লেগে থাকে যানজট। গাইবান্ধা শহরের রাস্তায় পৌরসভা থেকে চার হাজার অটোরিকশা চলাচলের অনুমোদন দেওয়া হলেও চলছে তার কয়েকগুন বেশি। যানজটের কারণে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, জরুরী রোগী বহনে অ্যাম্বুলেন্সসহ সাধারণ মানুষকে পড়তে হচ্ছে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগে।

শহরের মাষ্টার পাড়ার বাসিন্দা জুলফিকার আলী বলেন, ‘অটোরিকশা আমাদের চলাচলের মাধ্যম হলেও, এর সংখ্যা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধির ফলে এটি এখন চলাফেরায় অন্যতম সমস্যা সৃষ্টির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শহরের রাস্তার ধারণ ক্ষমতা অনুযায়ী অটোরিকশা চলাচলের অনুমতি দিলে যানজট কমানো সম্ভব।’

কলেজ পাড়া এলাকার বাসিন্দা নাজমুল হুদা অভিযোগ করে বলেন, ‘অনিবন্ধিত যানবাহনগুলো বিশেষ করে ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক চার্জ করতে বাড়তি বিদ্যুৎ খরচ হচ্ছে। ফলে বাড়ছে লোডশেডিং। যানজট ও লোডশেডিং থেকে দ্রুত মুক্তি চাই আমরা।’

ব্রিজ রোডের ব্যবসায়ী সালমান ফারসি বলেন, ‘চালকরা অদক্ষ ও অপেশাদার হওয়ায় প্রতিদিন এসব অটো রিকশা দুর্ঘটনা ঘটাচ্ছে। শহরের বিভিন্ন রাস্তায় যত্রতত্র পাকিং করায় যানজট বাড়ছে।’

গাইবান্ধা জেলা ট্রাফিক বিভাগের ইনচার্জ (এডমিন) মো. নুর আলম সিদ্দিক বলেন, ‘অটোরিকশা বৃদ্ধির কারণে শহরে যানজট বৃদ্ধি পাচ্ছে। অদক্ষ চালক ও অটো রিকশা নিয়ন্ত্রণ না করলে যানজটের ভোগান্তি কমানো সম্ভব নয়। পৌরসভা কর্তৃপক্ষ শহরের রাস্তার ধারণ ক্ষমতা অনুযায়ী অটোরিকশার চলাচলের ব্যবস্থা করলে যানজট ও ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব হবে।’

গাইবান্ধা পৌরসভার মেয়র মো. মতলুবর রহমান বলেন, ‘জনগণের দুর্ভোগ কমাতে আগামী জানুয়ারি মাস থেকে অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণ করা হবে। আলাদা রং দিয়ে পৌরসভার অনুমোদিত অটোরিকশা চিহ্নিত করা হবে। যাতে বাইরের অটো রিকশা শহরে ঢুকতে না পারে। এছাড়াও নিদিষ্ট স্থান ছাড়া যত্রতত্র পাকিং বন্ধ করা হবে।’