সারা বাংলা

শীত কমলেও বেড়েছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা

কুড়িগ্রামে শীতের তীব্রতা কমলেও হাসপাতালে বেড়েছে ডায়রিয়ায় আক্রান্তদের সংখ্যা। বিশেষ করে জেনারেল হাসপাতালের প্রতিটি ওয়ার্ডেই ভর্তি রয়েছেন প্রচুর সংখ্যক রোগী। আর এসব রোগীদের মধ্যে শিশুদের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। 

মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) কুড়িগ্রাম ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. সাদেকুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ১২টি বেডের বিপরীতে ভর্তির রয়েছেন ৫৫জন। এদের মধ্যে ৫১ জনই শিশু। এছাড়া হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের ৪৮টি বেডে ভর্তি রয়েছেন ৭৮ জন রোগী। অন্য ওয়ার্ডগুলোতে চিকিৎসা নিচ্ছেন আরও ২০০ ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীরা। 

হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে সন্তানের চিকিৎসা করাতে আসা শাহানা বেগম বলেন, ‘আমার সন্তানকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি। কিন্তু কোনো বেড পাইনি। তাই বাধ্য হয়ে মেঝেতে রেখেই ওকে চিকিৎসা করাচ্ছি।’

এদিকে গত ১৪ দিন পর দিনের তাপমাত্রা কিছু বৃদ্ধি পেলেও সন্ধ্যা থেকে পরদিন সকাল ৯-১০টা পর্যন্ত নিম্নগামী থাকছে তাপমত্রা। এ অবস্থায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবীরা। গরম কাপড়ের অভাবে চরম শীত কষ্টে ভুগলেও সরকারি বা বেসরকারি ভাবে কোনো শীতবস্ত্র সহায়তা পাননি বলে অভিযোগ অনেকের।

কুড়িগ্রাম পৌরসভার হাসপাতাল পাড়ার জয়নাল জানান, কনকনে ঠান্ডায় কষ্ট করে দিন যাপন করলেও এখন পর্যন্ত কেউ শীত বস্ত্র দেয়নি। খুব কষ্টে দিন কাটাচ্ছি।

কুড়িগ্রাম কৃষি আবহাওয়া অফিসের কৃষি পর্যবেক্ষক তুহিন জানান, মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে গত ৮ জানুয়ারি থেকে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত জেলার উপর দিয়ে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে গেছে।এদিকে শীত শুরুর পর থেকে জেলা প্রশাসন থেকে সরকারিভাবে প্রথম দফায় ৩৮ হাজার ও দ্বিতীয় ধাপে ২৫ হাজার কম্বল শীতার্ত মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।