সারা বাংলা

দুই মাস ধরে গৃহবধূ নিখোঁজ

শেরপুরের শ্রীবরদীতে লাবনী বেগম (২০) নামে এক গৃহবধূ প্রায় দুই মাস ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। এদিকে ঘটনার এতো দিন অতিবাহিত হলেও মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে ভেঙে পড়েছেন গৃহবধূর মা মিনা বেগম।

নিখোঁজ গৃহবধূ লাবনী বেগম উপজেলার হাসধরা গ্রামের আয়নাল হকের স্ত্রী।

গত বছরের ২৬ নভেম্বর রাতে রহস্যজনকভাবে হাসধরা গ্রামের স্বামীর বাড়ি থেকে নিখোঁজ জন লাবনী। এ ঘটনায় লাবনীর বাবা আসাদুজ্জামান ভাদু শ্রীবরদী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন ২৬ ডিসেম্বর।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিন বছর আগে উপজেলার বাঘহাতা গ্রামের আসাদুজ্জামান ভাদুর মেয়ে লাবনী বেগমকে বিয়ে করেন আয়নাল হক। 

মঙ্গলবার (২০ জানুয়ারি) নিখোঁজ গৃহবধূ লাবনীর বাবা আসাদুজ্জামান ভাদু বলেন, ‘আয়নাল হকের প্রতিবেশী এরশাদ ওরফে সোহেল কৌশলে আমার মেয়ে লাবনীকে নিয়ে পালিয়েছে বলে সন্দেহ করছি। ঘটনার দিন থেকে সোহেলের ফোনটি বন্ধ রয়েছে। আমরা আনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও লাবনীর সন্ধান পায়নি। থানায় জিডি করেছি। কিন্তু পুলিশও কোনো তথ্য দিতে পারেনি।’ 

লাবনীর শ্বশুর নুর ইসলাম বলেন, ‘ওই দিন লাবনীর শ্বাশুরি অসুস্থ্য ছিলেন। আমার ছেলেও বাড়িতে ছিল না। সন্ধ্যার দিকে কাপড় নিয়ে কাউকে না জানিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে যায় লাবনী। আর ফিরে আসেনি।’ 

লাবনীর দাদা মিনজু মিয়া বলেন, ‘আমরা অনেক জায়গায় খুঁজেছি। কোথাও পাইলাম না। তবে ভোলা জেলার সদর উপজেলার মির্জাকালু গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল ভূইয়ার ছেলে এরশাদ ওরফে সোহেল প্রায় ২০ বছর আগে আমগোর প্রতিবেশী ছামিউল হকের মেয়ে স্বপ্নাকে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে সে এখানেই থাকতো। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। সোহেল পরিকল্পিতভাবে লাবনীকে নিয়ে গেছে বলে আমাদের ধারণা। আমরা লাবনীর সন্ধান চাই।’ 

লাবনীর মা মিনা বেগম বলেন, ‘মেলা দিন অইলো লাবনীর খোঁজ পাইতাছি না। আমার লাবনীকে চাই।’ 

শ্রীবরদী থানার এসআই নুর হকে বলেন,  ‘আমরা তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে তদন্ত করছি। সন্ধান পেলেই উদ্ধার করা হবে। দ্রুতই আমরা লাবনীকে খুঁজে বের করবো।’