সারা বাংলা

যাত্রীর নাক ফাটালেন রেলকর্মীরা

রাজশাহীতে আন্তঃনগর এক্সপ্রেস ট্রেনের বগির ভেতরে এক নারীর দামী মোবাইল ফোন ও নগদ টাকাসহ ভ্যানিটি ব্যাগ ছিনতাই হয়। আর এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় এক যাত্রীকে ট্রেনের গার্ড ও ক্লিনাররা মারধর করে নাক ফাটিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল পৌনে ৭টার দিকে রাজশাহীর সারদা রেলস্টেশনে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার রাতে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসে পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেন। ট্রেনটি সকালে রাজশাহীর সারদা স্টেশনে পৌঁছায়। সেখানে যাত্রী নামাতে কয়েক মিনিট যাত্রাবিরতি দেয় ট্রেনটি। এসময় ওই ট্রেনের ‘ঘ’ বগিতে বিনা টিকিটে কিছু যাত্রী ওঠেন। ট্রেনের যাত্রীদের বেশির ভাগই তখন ঘুমিয়ে ছিলেন। ট্রেনটি ছাড়ার সময় বগিতে বসে থাকা কুমকুম নামে এক নারী যাত্রীর হাত থেকে ভ্যানিটি ব্যাগ টান দিয়ে দৌঁড়ে ট্রেন থেকে নেমে পড়েন দুই যুবক। এ সময় ওই নারী চিৎকার শুরু করলে অন্য যাত্রীরা বিষয়টি জানতে পারেন। ট্রেনের ভেতরে ছিনতাইয়ের ঘটনায় বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন যাত্রীরা।

পরে ট্রেনের গার্ড মনির হোসেন রাজ ও অ্যাটেনডেন্ট হাজির হলে যাত্রীরা তাদের ওপর চড়াও হন। এসময় উত্তেজিত যাত্রীরা সন্দেহভাজন একজন ক্লিনারকে মারধর করেন। ঘটনার পর ট্রেনটি রাজশাহী স্টেশনে পৌঁছলে গার্ড মনির হোসেন রাজসহ কয়েকজন ক্লিনার ওই বগিতে থাকা যাত্রী শিমুল ইসলামকে মারধর করে আহত করেন। তাদের হামলায় শিমুলের নাক ফেটে যায়। একজন সাংবাদিক ছবি তুলতে গেলে গার্ড মনির রাজ তার ওপর চড়াও হন। পরে রেল পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আহত শিমুলের অভিযোগ, ‘ট্রেনে ছিনতাইকারী চক্রের সঙ্গে জড়িত ক্লিনারসহ গার্ড এবং এটেন্ডেন্টরা। তা না হলে এতো লোক হুট করে প্রথম শ্রেণির বগিতে ওঠার কথা নয়। এর প্রতিবাদ করায় গার্ড মনিরসহ কয়েকজন ক্লিনার আমাকে মারধর করেছে। আমি বিচার চাই।’

রাজশাহী রেলওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাহাদৎ হোসেন জানান, মারামারি ঘটনার পরে একজন যাত্রী অভিযোগ করে গেছেন। ওই ট্রেনের ক্লিনার লাল মিয়াও একটি অভিযোগ করেছেন। খতিয়ে দেখে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার বলেন, ট্রেনের ভেতরে ছিনতাইয়ের ঘটনা আমার জানা নেই। তবে মারামারি হয়েছে বলে শুনেছি। স্টেশনের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।