সারা বাংলা

‘তারেক রহমানের বেয়াদবির প্রতিবাদে সাত্তারকে সমর্থন দিয়েছি’  

কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন বলেন, ‘উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়াকে আগে কেউ চিনতো না। এখন সবাই চেনে। আমিও চিনতাম না। এখন তিনি নিরপেক্ষ লোক।’

মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা পৌনে ৬টা পর্যন্ত সরাইল উপজেলার সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম মিলনায়তনে উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া সমর্থক গোষ্ঠীর ব্যানারে কর্মিসভার আয়োজন করা হয়। 

কর্মিসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন আহমেদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘তারেক রহমানের বেয়াদবির প্রতিবাদে আবদুস সাত্তার ভূইয়াকে সমর্থন দিয়েছি। বেয়াদবি মেনে নেওয়া যায় না। এজন্যই আমারা তাকে সমর্থন দিয়েছি।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ উপজেলা) আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া। তিনি এই আসনে বিএনপি থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন। বিএনপির দলীয় সিদ্ধান্তে তিনি পদত্যাগ করেন। বিএনপি কাজী হাবিবুল আওয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনারের অধীনে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আওয়ামী লীগ উপনির্বাচনে এই আসনে কোনো প্রার্থী দেয়নি।      

সভায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, ‘আসন্ন উপনির্বাচনে আপনারা সবাই ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে কলার ছড়া প্রতীকে (আবদুস সাত্তারের প্রতীক) ভোট দিয়ে ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙা জবাব দেবেন। আমি অন্তরের অন্তস্থল থেকে উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়াকে সমর্থন করি।’ 

সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ঠাকুরের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আবদুস সাত্তার ভূইয়া, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম, জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি হেলাল উদ্দিন প্রমুখ।