সারা বাংলা

টানা ছুটিতে পর্যটকে মুখরিত কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত

টানা তিনদিনের ছুটিতে পর্যটকে মুখরিত কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত। শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সমুদ্রসৈকতের লাবণী পয়েন্ট থেকে কলাতলী পর্যন্ত লোকে লোকারণ্য।

পর্যটকদের মধ্যে কেউ ছবি তুলছেন, কেউ ধারণ করছেন ভিডিও চিত্র। সৈকতের বালিয়াড়িতে ঘুরতে দেখা গেছে অনেককে, কেউ চরছেন ঘোড়ায়। পর্যটকদের নিরাপত্তায় সতর্ক অবস্থানে পুলিশ ও প্রশাসন।

ধামরাই থেকে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে বেড়াতে আসা রতন শর্মা নামের এক চাকরিজীবী বলেন, ‘ব্যস্ততার কারণে পরিবার নিয়ে বেড়ানোর সময় বের করা কঠিন। তারপরও সুযোগ পেলে বছরে একবার কক্সবাজার আসা হয়।’

নেত্রকোনা থেকে এসেছেন সাইফুল কবির। তিনি বলেন, ‘নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে কক্সবাজারে বিপুল সংখ্যক পর্যটক আসেন। এবার শুনেছি, পর্যটকের চাপ একটু কম। তাই চলে এলাম, সত্যি দারুণ।’

এদিকে, পর্যটকের চাপে ব্যস্ত সময় পার করছেন হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ, মার্কেটসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট সকল ব্যবসায়ীরা। হাসি ফুটেছে তাদের মুখে। 

সুগন্ধা সৈকত সংলগ্ন ঝিনুক ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রুবেল বলেন, ‘অনেক সংকটের পর একটু ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। পর্যটকরা কক্সবাজারে আসছেন। আশা করি, ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ভালো ব্যবসা হবে।’

কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, ‘বর্তমানে লক্ষাধিক পর্যটক কক্সবাজারে অবস্থান করছেন। রমজানের আগ পর্যন্ত আশা করি ভিড় কমবে না।’

সাধারণ সম্পাদক সেলিম নেওয়াজ বলেন, ‘সরস্বতীপূজা ও সাপ্তাহিক বন্ধ মিলিয়ে টানা তিনদিনের ছুটিতে পর্যটকরা কক্সবাজারে এসেছেন। হোটেলের ৮০ শতাংশ পর্যন্ত রুম বুকিং হয়েছে।’

ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের পুলিশ সুপার মো. জিল্লুর রহমান বলেন, ‘পর্যটকদের নিরাপত্তায় সতর্ক রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। জেলার প্রতিটি স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশ সদস্যরা সার্বক্ষণিক সেবা ও নিরাপত্তা জোরদার রেখেছেন।’