সারা বাংলা

শুকনো মরিচের কেজি ৫০০ টাকা

দাম বৃদ্ধিতে আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে শুকনো মরিচ। গত কয়েকমাস আগেও যে মরিচ প্রতিকেজি ১৮০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হতো এখন দাম বেড়ে সেই মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া সবচেয়ে নিম্নমানের শুকনা মরিচ বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা দরে। 

শনিবার (২৮ জানুয়ারি) দেশের সবচেয়ে বড় ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জ ও বিভিন্ন খুচরা বাজার ঘুরে মরিচেরে অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির এ চিত্র দেখা গেছে। 

এদিকে, পাইকারি মরিচ বিক্রেতারাও জানিয়েছেন, শুকনা মরিচেরে এমন অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি অতীতে কখনো ঘটেনি। 

চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের শুকনা মরিচসহ বিভিন্ন মশলার আমদানিকারক মোহাম্মদ সেকান্দর হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশের মরিচের বড় চাহিদা পূরণ হয় ভারত থেকে আমদানির মাধ্যমে। কিন্তু সম্প্রতি ভারত থেকে মরিচ আমদানি প্রায় বন্ধের পর্যায়ে রয়েছে। বিশেষ করে ডলারের মূল্য বৃদ্ধি এবং ভারতে মরিচের ফলনে ধস নামায় বাংলাদেশে চাহিদা অনুযায়ী মরিচ আমদানি হচ্ছে না। এর ফলে ভারতীয় শুকনা মরিচের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে।’ 

এই ব্যবসায়ী আরও বলেন, ‘৫/৬ মাস আগেও যে ভারতীয় মরিচ প্রতি কেজি ২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে এখন সেই মরিচের দাম ৩০০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকায়।’ 

চট্টগ্রামের রিয়াজউদ্দিন বাজারের মশলা ব্যবসায়ী আবদুল সবুর বলেন, ‘আগে চট্টগ্রামের বাজারে সবচেয়ে দামি মরিচ ছিলো হাটহাজারীর মরিচ। এই মরিচ বিক্রি হতো ৩০০ টাকা কেজি। পক্ষান্তরে ভারত থেকে আমদানিকৃত মরিচ বিক্রি হতো ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি। কিন্ত বর্তমানে ভারতীয় শুকনো মরিচ হয়ে গেছে ৫০০ টাকা কেজি, আর চট্টগ্রামের বিখ্যাত হাটহাজারীর মরিচের কেজি ৫৬০ টাকা।‘ 

বাজার অনুসন্ধানে জানা গেছে, দেশে শুকনো মরিচের সবচেয়ে বেশি সরবরাহ হয় চট্টগ্রাম, পঞ্চগড়, কুমিল্লা, ভোলা, রায়পুরসহ বিভিন্ন জেলা থেকে। দেশি মরিচে চাহিদা মেটে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ। চাহিদার বাকি মরিচ আমদানি হয় ভারত ও মিয়ানমার থেকে। এই অবস্থায় আমদানি কমে যাওয়ায় দেশে শুকনো মরিচের সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। একই সঙ্গে অস্বাভাবিকভাবে দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। মরিচের এই মূল্য কবে স্বাভাবিক হবে এই তথ্য জানাতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা।