সারা বাংলা

গোপালগঞ্জে নির্ভসা বৈরাগীর সন্ধান দাবি পরিবারের

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে পাঁচ দিন নিখোঁজ পিতা নির্ভসা বৈরাগীর সন্ধানের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে পরিবারের সদস্যরা। আজ রোববার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে মুকসুদপুর উপজেলার কলিগ্রামের নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিখোঁজের ছেলে পিংকু বৈরাগী। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ২৫ জানুয়ারি বিকেলে মাছ ধরতে চান্দার বিলে যাওয়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হন তার বাবা নির্ভসা বৈরাগী। একই এলাকার মিনি বৈরাগীর সঙ্গে মাছ ধরতে তিনি বিলে যান। পরে তিনি মিনি বৈরাগীর কাছে মাছ ধরার সরঞ্জাম ও মোবাইল রেখে বড়শী পাততে বিলের অন্য দিকে যান। এরপর আর ওই রাতে তিনি বাড়ি ফিরে না আসলে বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করা হয়। পরে তার সন্ধান না পেয়ে মুকসুদপুর থানা সাধারণ ডায়েরি করা হয়। 

পিংকু বৈরাগী আরও বলেন, খোঁজাখুঁজির এক পর্যাযে একই গ্রামের অরুণ দাসের ইঁদুর মারার বৈদ্যুতিক ফাঁদে পা দেয়ার এবং জমিতে পড়ে যাওয়ার চিহৃ পাওয়া হয়। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে মোবাইল ফোনে মিমাংসা করার জন্য অরুণ দাস ও স্থানীয় মেম্বার বকুল তালুকদার প্রস্তাব দেন। এ বিষয়ের অডিও রেকডিং পুলিশের কাছে দিলেও এখন পর্যন্ত অরুণ দাসকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের ধারণা আমার বাবার মরদেহ গুম করা হয়েছে। আমরা অরুণ দাসকে গ্রেপ্তার করাসহ বাবাকে জীবিত অথবা মৃত ফেরত চাই।’ তিনি এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

এ সংবাদ সম্মেলনে নিখোঁজের মেয়ে রীতা বৈরাগী, মালা বৈরাগী, মিলি বৈরাগী, জলিরপাড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রকিম বৈরাগীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। 

এ ব্যাপারে মিনি বৈরাগী বলেন, ‘নির্ভসা বৈরাগী মাছ ধরতে আমাকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যান। আমরা দুই জনে মাছ ধরতে গেলে তিনি অন্য দিকে বড়শী পাততে যান। এরপর থেকে তিনি আর বাড়ি ফিরে আসেনি। তিনি তার মোবাইল ফোন, হাড়ি আমার কাছ রেখে যান। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ রয়েছেন। আমরা চাই নির্ভসা বৈরাগীকে দ্রুত খুঁজে বের করা হোক।’ 

মুকসুদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু বক্কর মিয়া বলেন, ‘মুকসুদপুর উপজেলার কলিগ্রামের নির্ভসা বৈরাগী নিখোঁজ হওয়ার ব্যাপারে অভিযোগ পেয়েছি। আমরা নির্ভসা বৈরাগীকে খুঁজে বের করতে কাজ করছি। তবে তিনি বেঁচে আছেন, নাকি মারা গেছেন; সেই বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারিনি।’  

তিনি আরো বলেন, ‘অরুণ দাস ও স্থানীয় মেম্বার বকুল তালুকদার মিমাংসার জন্য প্রস্তাব দিয়েছেন, সেটা আমরা জেনেছি। অরুণ দাস পলাতক রয়েছেন। তাকে পেলে জিজ্ঞাসাবাদ করা গেলে এর রহস্য জানা যাবে।’