চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে (চসিক) তদবির করেও কাজ না পাওয়ায় প্রকল্প পরিচালককে (পিডি) মারধর ও অফিস ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় চার ঠিকাদারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে।
এর আগে গতকাল রোববার রাতে ১১টার দিকে ঠিকাদারকে আসামি করে মামলা করেন সিটি করপোরেশনের নিরাপত্তা কর্মকর্তা মো. কামাল উদ্দিন।
গ্রেপ্তার চার ঠিকাদার হলেন- সঞ্জয় ভৌমিক কংকন, সুভাষ, মো. ফিরোজ ও মাহমুদ উল্লাহ।
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা জানান, চসিকের একটি প্রকল্পে কাজ না পেয়ে ঠিকাদাররা রোববার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে টাইগারপাসে চসিকে অস্থায়ী প্রধান কার্যালয়ে হামলা চালায়। তারা প্রকল্প পরিচালক মো. গোলাম ইয়াজদানীকে মারধর করেন। হামলার এক পর্যায়ে ঠিকাদাররা নামফলক ও টেবিলের কাচ ভেঙে ফেলেন।
প্রকল্প পরিচালক মো. গোলাম ইয়াজদানী বলেন, ‘তদবির করে কাজ না পেয়ে ঠিকাদাররা কার্যালয়ে ঢুকে হামলা চালিয়েছে। মারধর করেছে। এই ঘটনায় রোববার রাতে ১১ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে।’
মামলার আসামিরা হলেন- এস জে ট্রেডার্সের সাহাব উদ্দিন, শাহ আমানত ট্রেডার্সের সঞ্জয় ভৌমিক কংকন, মাসুদ এন্টারপ্রাইজের মো. ফেরদৌস, শাহ আমানত ট্রেডার্সের সুভাষ, মেসার্স খান করপোরেশনের হাবিব উল্ল্যাহ খান, মেসার্স নাজিম অ্যান্ড ব্রাদার্সের নাজিম, মেসার্স রাকিব এন্টারপ্রাইজের ফিরোজ, ইফতেখার অ্যান্ড ব্রাদার্সের ইউসুফ, জ্যোতি এন্টারপ্রাইজের আশীষ বাবু, ফরহাদ ও মাহমুদ উল্লাহ।
পুলিশ জানায়, মামলার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করে।
এদিকে, প্রকল্প পরিচালককে মারধরের ঘটনায় সিটি করপোরেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা সৈয়দ শামসুল তাবরীজকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন- সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত আইন কর্মকর্তা মনীষা মহাজন ও আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবির।
সিটি করপোরেশনের সচিব খালেদ মাহমুদ বলেন, কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। কমিটি ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। মারধরে দায়ী ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হবে।