সারা বাংলা

কুমিল্লায় সম্পত্তির দ্বন্দ্বে লাশ দাফনে বাধা

কুমিল্লায় লাশের সামনে সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে মেয়ে ও সৎ মা। এ সময় ধস্তাধস্তি করেন উভয়পক্ষ। এরপর শ্বশুরের লাশ প্রায় এক ঘণ্টা আটকে রাখেন জামাতা। মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) বিকাল ৪টায় কুমিল্লার হাউজিং এস্টেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, এটি পারিবারিক দ্বন্দ্ব।

নিহত ডা. সিরাজুল হকের মেয়ে হাছনেয়ারা বেগম বলেন, ‘আমার ১২ বছর বয়সে মা মারা যায়। ১৫ বছর বয়সে বিবাহ হয়। তখন স্বামীর বাড়ি চলে যাই। বাবা ঘরে একা। তাই দ্বিতীয় বিয়ে করেন। পরের সংসারে বাবার কোনো সন্তান হয়নি। গত ২০ বছর বাবা অসুস্থ। কয়েকবার স্ট্রোক করেছে। তখন আমার সৎ মা সেতারা বেগম, তার ভাই জাহাঙ্গীর ও তারেক হাউজিং জমির টিপসই নেয়। আমি হাউজিং বা গ্রামের বাড়ি রাচিয়ার কোনো সম্পত্তি পাইনি। আমি ছাড়া আমার বাবার কোনো ছেলে ও মেয়ে নেই।’ 

মেয়ের জামাতা ডা. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘শ্বশুরের লাশ দেখতে গেলে তারা আমার মেয়ের ব্যাগ আটকে রাখে। তার নানার ঘর থেকে বের হতে বলে। আমার স্ত্রীকে প্রহার করে। তখন একটু ধস্তাধস্তি হয়। তারা ২০১৮ সালে আমার শ্বশুরের ৮ শতক জমি, তিন তলা ভবনসহ হেবা দলিল করে নিয়ে যায়। ব্যাংকের সব টাকা সৎ মা নিয়ে যায়। গ্রামের সকল জমি চাচাদের দিয়ে দেয়।’  নিহত ডা. সিরাজুল হকের দ্বিতীয় স্ত্রী সেতারা বেগম বলেন, ‘স্বামীর লাশ সামনে রেখে আমি কথা বলবো না।’  

কোতয়ালি থানার সহকারী পুলিশ পরিদর্শক বিষ্ণু কুমার রায় বলেন, ‘বিষয়টি জেনে আমরা হাউজিং ১নং সেক্টরে মসজিদে যাই। উভয় পক্ষকে বলেছি, লাশ যেন আটকে না রাখা হয়। মোটামুটি ঘণ্টা খানেক পর জানাজা ও দাফন হয়।’