আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি খুলনা বিভাগীয় সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে সাতক্ষীরায় অনুষ্ঠিত প্রস্তুতি সভা দুই গ্রুপের হাতাহাতির মধ্য দিয়ে পণ্ড হয়ে গেছে।
মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) বিকাল ৪টায় শহরের আমতলা এলাকার কমিউনিটি সেন্টারে জেলা বিএনপির উদ্যোগে প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।
প্রস্তুতি সভায় দুঃখ প্রকাশ করে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। তিনি এ সময় নিজেদের মধ্যে সকল দ্বন্দ্ব ভুলে যে কোনো মূল্যে খুলনা বিভাগীয় মহাসমাবেশ সফল করার আহ্বান জানান।
বিএনপি নেতা-কর্মীরা জানান, প্রধান অতিথি আসার পর শান্তিপূর্ণভাবে সভা চলছিল। এ সময় সাতক্ষীরা বিএনপির সদস্য সচিব চেয়ারম্যান আব্দুল আলিমের বক্তব্যকে ঘিরে এক পক্ষ উত্তেজিত হয়ে পড়ে। এ সময় তারা আব্দুল আলিমকে আক্রমণ করার চেষ্টা করলে তা দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক তারিকুল হাসান জানান, আব্দুল আলিমের দায়িত্ব জ্ঞানহীন বক্তব্যের জেরে আজকে কেন্দ্রীয় নেতার উপস্থিতিতে এমন অঘটন ঘটল। আব্দুল আলিম তার বক্তব্যে বলেছেন, অবস্থা যেদিকে যাচ্ছে, তাতে আমান হত্যার মতো ঘটনা ঘটতে পারে। তার এই বক্তব্যের পরপরই উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। তিনি আগামীতে দায়িত্বশীল নেতাদের আরও সংযত আচরণের পরামর্শ দেন।
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম বলেন, এটা উল্লেখ করার মতো তেমন বিষয় নয়। নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝিতে সামান্য উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহ কমিটির সদস্য কাজী আলাউদ্দিন, নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. শহিদুল আলম, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রউফ, শেখ তারিকুল হাসান, হাবিবুর রহমান হাবিব, মৃণাল কান্তি রায় প্রমুখ।
সাতক্ষীরা জেলা বিএনপি স্পষ্টত দুই ভাগে বিভক্ত। একটির নেতৃত্বে রয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব। তিনি জেলে যাওয়ার পর ওই অংশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন জেলা বিএনপির যুগ্ন-আহ্বায়ক চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ ও তারিকুল হাসান।
অপরগ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ ইফতেখার আলী ও সদস্য সচিব আব্দুল আলিম। এই দুই গ্রুপের দ্বন্দ্ব পুরনো। অতীতে এই দু্ই গ্রুপের দ্বন্দ্বে খুন হন জেলা মৎস্যজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক আমান উল্লাহ আমান।
বর্তমানে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি দুই গ্রুপের ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় পালন করতে দেখা যায়।