স্মরণশক্তি নির্ভর সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে উদ্ভাবনী নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থায় সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস সম্মেলন কক্ষে শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন সেকেন্ডারি এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের (এসইডিপি) অন্তর্ভুক্ত ‘স্ট্রেংদেনিং রিডিং হ্যাবিট অ্যান্ড রিডিং স্কিলস অ্যামাং সেকেন্ডারি স্টুডেন্টস স্কিমের’ আওতায় ‘পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচি’র চট্টগ্রাম বিভাগের ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা তিনি এ আহ্বান জানান।
মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, সরকার নতুন যে শিক্ষাক্রম চালু করেছে, তাতে অভ্যস্ত হতে হলে পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত বইগুলো পড়তে হবে।
এই কর্মশালায় চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জেলার জেলা শিক্ষা অফিসার, কর্মসূচিভুক্ত ৬৪টি উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসাররা অংশ নেন।
কর্মশালায় চট্টগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় অতিরিক্ত কমিশনার ড. প্রকাশ কান্তি চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির সাবেক উপাচার্য ও বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি অধ্যাপক মুহাম্মাদ আলী নকী।
বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র শিক্ষা উপদেষ্টা ড. মো. মাহামুদ-উল-হক।
স্কিম প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্ট্রেংদেনিং রিডিং হ্যাবিট অ্যান্ড রিডিং স্কিলস অ্যামাং সেকেন্ডারি স্টুডেন্টস স্কিমের উপ-পরিচালক ড. আছিছুল আহছান কবীর।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচির সঙ্গে শুধু শিক্ষার্থী নয়, শিক্ষক এবং অভিভাবকদেরও সম্পৃক্ত করতে হবে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, তারা যেন এই বিষয়টি নিশ্চিত করেন যে সপ্তাহের এক দিন এক ঘণ্টা শিক্ষকরা লাইব্রেরির কাজ করেন।
এই কর্মশালার মাধ্যমে চট্টগ্রাম বিভাগের ৬৪টি উপজেলার ২ হাজার ৩৩৩ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচির বইপড়া কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। এর ফলে আনুমানিক ৩ লাখ ৯৬ হাজার ৬১০ জন ছাত্রছাত্রী স্কিমের তালিকাভুক্ত বইগুলো পড়ে নিজেদের সমৃদ্ধ, মানবিক ও মূল্যবোধসম্পন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারবে।
পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচি দেশের ৬৪ জেলার ৩০০ উপজেলায় ১৫ হাজার মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাস্তবায়িত হচ্ছে। কর্মসূচির আওতায় প্রতিবছর প্রায় ২৫ লাখ ছাত্রছাত্রী বই পড়ার সুবিধা পাবে। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ওই কর্মসূচি মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন করছে। ইতোমধ্যে ৪টি বিভাগে (ঢাকা, রাজশাহী, বরিশাল ও খুলনা) কর্মশালা সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।