সারা বাংলা

‘সরকার পতন করে দেশকে আসন্ন দূর্ভিক্ষমুক্ত করতে হবে’  

দেশে ধাপে ধাপে বিদ্যুৎতের দাম বাড়ছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম জনগণের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। দেশে আসন্ন দূর্ভিক্ষের কথা এখন সবাই বলছে। আমরা বিএনপি বলতে চাই, এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশ দূর্ভিক্ষমুক্ত হবে না। দেশকে আসন্ন দূর্ভিক্ষের হাত থেকে রক্ষা করতে হলে সরকারকে বিদায় করাতে হবে। সেই বিদায়ের আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে, আর থামবে না।’ 

শনিবার (৪ জুলাই) বিকেলে রংপুর গ্রান্ড হোটেল মোড়ে বিএনপির গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন দলটির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান।

মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ‘দেশের জনগণ সরকার পতনের আন্দোলনে জ্বল জ্বল করছে। আর এক মুহূর্তও শেখ হাসিনাকে সরকারে দেখতে চায় না। আজকের এই বিভাগীয় সমাবেশে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে, সরকার পতন এখন সময়ের ব্যাপার। বিএনপি সভ্য দল। তাই সরকারকে এখনো সম্মানের সঙ্গে বলছি পদত্যাগ করুন, নয়ত দূর্বার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে পদত্যাগ করতে বাধ্য হবেন।’

১ ফেব্রুয়ারিতে দেশের ছয় আসনের উপনির্বাচনের বিষয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘জনপ্রিয় দল বিএনপি ছাড়া দেশের মানুষ আর ভোটে অংশ নিতে চায় না। যার প্রমাণ হিসেবে ওই ছয় উপ-নির্বাচনে ভোট কাস্ট হয়েছে ৬ থেকে ৭ পারসেন।’

সমাবেশে আগত রংপুর বিভাগের দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে কেন্দ্রীয় এই ভাইস চেয়ারম্যান তার বক্তব্যে আরও বলেন, ‘রংপুর বিভাগ বিএনপির জন্য উর্বর ভূমি। আগামী নির্বাচনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে এই অঞ্চলের মানুষ বেশি উজ্জীবিত হয়েছে। তাই দলীয় পদ পদবী এখন আমাদের মূখ্য বিষয় নয়। আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার পতন ও বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করাই আমাদের মূল চাওয়া থাকতে হবে।’ 

বিভাগীয় এই সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভুইয়া, বিএনপির সাবেক এমপি ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ ১০ দফা দাবির আন্দোলন অব্যাহত রেখে সকল বন্দি নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি করেন। রংপুর নগরীর গ্রান্ড হোটেল মোড়ে দলের জেলা কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে দুপুর ২টা থেকে বিভাগের ৮ জেলা থেকে নেতাকর্মীরা মিছিলে মিছিলে অংশগ্রহণ করেন। দুপুর আড়াইটার মধ্যে সমাবেশস্থল কানায় কানায় পূর্ণ হয়।