সারা বাংলা

পর্যটনের আকর্ষণীয় স্পট ‘বাঁশবাড়ি’

নিচে বিশাল আকারের পুকুর। উপরে দেওয়া হয়েছে বাঁশের পাটাতন। চারপাশের বেড়াও তৈরী করা হয়েছে রং বেরংয়ের বাঁশ দিয়ে। এছাড়া বাঁশ ও ছন দিয়ে তৈরী করা হয়েছে ছোট ছোট ঘর। আর এইসব ছোট ঘরে বসেই কফির পেয়ালায় চুমুক দিয়ে সময় অতিবাহিত করতে পারেন পর্যটকরা। 

কোনো ধরনের ইট, পাথর কিংবা লোহা সাদৃশ্য বস্তু ছাড়াই সাত হাজার বাঁশ দ্বারা নির্মাণ করা হয়েছে এই বাঁশবাড়ি। দূর থেকে দেখলে যে কাউই বিমোহিত হন এই বাঁশবাড়ির প্রতি। বর্তমানে কুয়াকাটায় আগত পর্যটকদের কাছে আকর্ষনীয় স্থান হয়ে উঠতে শুরু করেছে এটি। প্রতিনিয়ত হাজারো পর্যটকদের পদচারণায় পর্যটনের নতুন স্পট পরিণত হয়েছে বাঁশবাড়ি। 

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের রজপাড়া গ্রামের পায়রা বন্দরের প্রবেশ পথ ফোরলেন সড়কের পাশেই দৃষ্টি নন্দন এই বাঁশবাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে। এটি নির্মাণ করেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান শিমু নামের এক ব্যক্তি। গত ১৩ জানুয়ারি এই বাঁশবাড়ি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়। 

বাঁশবাড়ির পরিচালক সৈয়দ মশিউর রহমান বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই স্বপ্ন ছিলো বাংলার ঐতিহ্য ধরে রেখে কংক্রিট ছাড়াই এমন একটা কিছু তৈরী করার। পরে স্ত্রীর পরামর্শ ও সহযোগীতায় শুধুমাত্র বাঁশ, কাঠ, গোলপাতা এবং ছন দিয়ে এই বাঁশবাড়ি নির্মাণ করেছি। এটি নির্মাণে প্রায় ৫০ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘উদ্বোধনের পর থেকেই পর্যটকদের ভিড় সামলাতে হিমশিত খেতে হচ্ছে আমাদের। তবে আমরা এখানে আগতদের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিতের চেষ্টা করছি।’ 

ঢাকা থেকে আগত পর্যটক সাইফুর রহমান বলেন, ‘আমরা ঢাকার একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীদের নিয়ে কুয়াকাটায় বেড়াতে এসেছি। পথিমধ্যে গাড়ি থামিয়ে  বাঁশবাড়ি দেখে যাচ্ছি। এখানে আমরা সবাই মিলে কফি পান করেছি। এই বাঁশবাড়ি আমাদের মন কেড়েছে। এখন কুয়াকাটায় আরও একটি নতুন পর্যটন স্পট তৈরী হলো।’ 

খুলনা থেকে আসা পর্যটক ফরিদ-নাজমা দম্পত্তি বলেন, পরিবারের সবাইকে নিয়ে কুয়াকাটায় যাচ্ছিলাম। পথিমধ্যে এই বাঁশবাড়ি দেখে গাড়ি থামিয়ে ঘুরতে এসেছি। বেশ মজার একটি স্থান। ভালোই উপভোগ করেছি। 

কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিম বলেন, ‘বাঁশবাড়ি ক্যাফেতে আগত পর্যটকদের নিরাপত্তায় সবসময়ই সচেষ্ট রয়েছে থানা পুলিশ।’