বান্দরবানের থানচির দুর্গম পাহাড় লোয়াংমুয়াল রেমাক্রি ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় টানা ১২ ঘণ্টার অভিযানে ১৭ জঙ্গিসহ ২০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় বান্দরবানের জেলা পরিষদ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
গ্রেপ্তারদের মধ্যে ১৭ জন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র সদস্য এবং তিন জন পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের সদস্য।
মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ভোর রাতে র্যাবের সঙ্গে জঙ্গি ও পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের গুলি বিনিময়ের এক পর্যায়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররা হলেন, জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ারর সদস্য কুমিল্লা সদরের মো. আসসামী রহমান সাদ (১৯), বরগুনার বেতাগীর মো. সোহেল মোল্লা সাইফুল্লাহ (২২), পটুয়াখালী সদরের মো. আল আমিন ফকির মোস্তাক (১৯), কুমিল্লার লাঙ্গলকোট এলাকার মো. জহিরুল ইসলাম ওরফে ওমর ফারুক (২৭), পটুয়াখালী সদরের মো. মিরাজ হোসেন ওরফে দোলন, মুন্সীগঞ্জের টংগিবাড়ীর রিয়াজ শেখ জায়েদ (২৪), পটুয়াখালীর মহিপুরের মো. ওবাইদুল্লাহ (২০), পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের জুয়েল মাহমুদ (২৭), টাঙ্গাইলের ধানবাড়ীর মো. ইলিয়াছ রহমান (৩২), ঝালকাঠি সদরের মো. হাবিবুর রহমান (২৩), কুমিল্লা সদরের মো. সাখাওয়াত হোসেইন (২১), বরিশালের কোতয়ালির মো. আব্দুস সালাম রাকি (২৮), কুমিল্লার লাকসামের যোবায়ের আহমদ (২৯), পটুয়াখালীর মো. শামীম হোসেন (২৬), হবিগঞ্জের তাওয়াবুর রহমান সোহান (২০), বরিশালের মাহমুদ ডাকুয়া (২০), মাগুরার মোহাম্মদ আবু হুরাইরা (২২)। আর পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কেএনএফের সদস্য লাল মোল সিয়াম বম, ফ্লাগ ক্রস, রাঙ্গামাটি বিলাইছড়ির মালসম পাংকুয়া (৫২)।
খন্দকার আল মঈন বলেন, ঘটনাস্থল থেকে নগদ ৭ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এই টাকা অবৈধ পথে অস্ত্র কেনার জন্য জমা করা হয়েছিল। অভিযানের সময় র্যাব ৩৫০ রাউন্ড গুলি করেছে। সন্ত্রাসীরা ২০০ রাউন্ডের মতো গুলি ছুড়েছে। এতে ৮ জন র্যাব সদস্য গুলিবিদ্ধ হলেও মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত কেউ হননি। তারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নিষিদ্ধ জঙ্গী সংগঠনের সঙ্গে জড়িত আরও ২৮ জনকে গ্রেপ্তারে র্যাবের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।