সারা বাংলা

পবিপ্রবিতে আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপর হামলা

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রারের অপসারণসহ ৭ দফা দাবি আদায়ে আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপর হামলা করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের প্রশাসনিক ভবনের সামনে হামলা করা হয়। এতে ক্যাম্পাসে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। 

আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, তাদের আন্দোলন ভন্ডুল করার উদ্দেশ্যে রেজিস্ট্রার কামরুল ইসলামের সমর্থনকারীরা এ হামলা চালিয়েছে। তবে যতই বাধা আসুক, তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে হুঁশিয়ারি দেন আন্দোলনকারীরা। 

এদিকে, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের টানা কর্মবিরতিতে স্থবির হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম। তারা গত ৩০ জানুয়ারি থেকে কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট চালিয়ে যাচ্ছে।

৬ দফাগুলো হলো— প্রতিটি ক্ষেত্রে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ৩টি পর্যায়োন্নয়ন, সহকারী রেজিস্ট্রার পদের স্কেল ষষ্ঠ গ্রেড এবং ডেপুটি রেজিস্ট্রার পদের স্কেল চতুর্থ গ্রেডে উন্নীত করা, প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে কর্মরত দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের সরানো, অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়নে কমিটি আপডেট করা, অর্গানোগ্রাম কমিটিতে অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি রাখা ও বর্তমান রেজিস্ট্রারের অপসারণ।

পবিপ্রবি অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাইদুর রহমান জুয়েল বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে অযোগ্য ও অদক্ষ ব্যক্তিকে রেজিস্টার এর মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে দেওয়া হয়েছে। তিনি আইন কানুন না বোঝার কারণে কর্মকর্তা কর্মচারীদের দাবি দাওয়া বোঝেন না। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। তাই রেজিস্টারের অব্যাহতি চেয়েছি আমরা।’  

দাবিগুলো পূরণ না পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে এবং আন্দোলনে হামলা চালানোর প্রতিবাদ জানান তিনি।

পবিপ্রবির রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ড. মোহাম্মদ কামরুল বলেন, ‘তারা আমার কাছে একটা ৬ দফা দাবি দিয়েছিলেন। আমার কাছে সেটি আছে। আমরা গত ২৩ তারিখে রিজেন্ট বোর্ডের নীতিনির্ধারণী সভায় পাস করতে পারিনি। সেই কারণে তারা আন্দোলন ও কর্মবিরতি করছে। আমরা তাদের আন্দোলনের পক্ষে। কিন্তু তারা এখন ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলের জন্য আন্দোলন করছে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় রক্ষার স্বার্থে রুখে দাঁড়িয়েছি।’

পবিপ্রবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত বলেন, ‘আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। দ্রুত এই সমস্যার সমাধান মিলবে বলে আশা করছি।’