সারা বাংলা

নতুন রাষ্ট্রপতিকে অভিনন্দন জানিয়ে রাজশাহীতে মিছিল

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ায় মো. সাহাবুদ্দিনকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আনন্দ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল নগরীর কুমারপাড়ার দলীয় কার্যালয় থেকে আনন্দ মিছিল বের করা হয়। 

মিছিলটি সাহেব বাজার জিরোপয়েন্ট হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বড় মসজিদের সামনে গিয়ে পথসভায় মিলিত হয়। আনন্দ মিছিল ও পথসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। পথসভা শেষে সেখানে মিষ্টি বিতরণ করা হয়।

পথসভায় মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন রাজশাহী বিভাগের সন্তান ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতি শিক্ষার্থী, যিনি জাতির প্রয়োজনে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডে জড়িত থেকে নিজের যোগ্যতা, মেধা, মনন, দক্ষতা, আদর্শ ও দেশপ্রেম প্রমাণ করে রাষ্ট্রপতি হয়েছেন। জাতির পিতার নির্মম হত্যাকাণ্ডের পরে সারা দেশে যারা কারাবরণ করেছিলেন, তার মধ্যে অন্যতম মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি ছাত্রলীগ করেছেন, যুবলীগ করেছেন, আওয়ামী লীগ করেছেন, পরবর্তীতে বিচারকের দায়িত্ব পালন করেছেন এবং দুর্নীতি দমন কমিশনেও দায়িত্ব পালন করেছেন। জীবনের প্রতিটি পদে পদে তিনি তাঁর দক্ষতা, যোগ্যতা ও সততার প্রমাণ দিয়েছেন। তাঁর যোগতা ও দক্ষতার জন্য আজকে দেশবাসী আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনার মাধ্যমে তাঁকে পুরস্কৃত করেছেন।’ 

লিটন আরও বলেন, ‘আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা, আমরা আওয়ামী লীগ, আমরা কোনো ইয়াজউদ্দিন বা ইয়েস উদ্দিন মার্কা কাউকে রাষ্ট্রপতি করি না। প্রধানমন্ত্রী দলীয় মনোনয়ন দিয়েছেন তাকে, যার নাম শোনামাত্র পুরো জাতি বলেছেন, এটি চমৎকার সিলেকশন। এই সিলেকশন কোথা থেকে করলেন নেত্রী। রাষ্ট্রপতি হবার কিছুক্ষণ আগে পর্যন্ত তিনি জানতেন না যে রাষ্ট্রপতি হতে যাচ্ছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সম্পূর্ণভাবে দায়িত্ব দিয়েছিল দল। তিনি অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে ও গোপনীয়তার সঙ্গে সবকিছু বিবেচনা করে মো. সাহাবুদ্দিনকে চূড়ান্ত সিলেকশন দেন।’ 

আনন্দ মিছিল ও পথসভায় সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার। উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বিশিষ্ট সমাজসেবী শাহীন আকতার রেণী, যুগ্ম সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, আহ্সানুল হক পিন্টু, আসাদুজ্জামান আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আসলাম সরকার, মীর ইসতিয়াক আহমেদ লিমন প্রমুখ।