সারা বাংলা

ফাঁদ পেতে ৭০০ পাখি হত্যা, বাবা-ছেলের কারাদণ্ড

ফাঁদ পেতে ৭০০ বাবুই পাখি হত্যা করার অপরাধে দুই শিকারিকে এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রম্যমাণ আদালত। এসময় তাদের এক হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়।

বুধবার (২২ ফেব্রুয়িারি) সকালে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সোহরাব হোসেন এই দণ্ড দেন। 

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- মো. আবু বক্কর সিদ্দিক (৫৫) ও তার ছেলে ফিরোজ হোসেন (৩২)। তারা সম্পর্কে বাবা ও ছেলে। তাদের বাড়ি নাটোরের লন্ডনডাঙ্গা থানার মদনহাট গ্রামে। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আবু বক্করকে সঙ্গে নিয়ে ছেলে ফিরোজ চারঘাটে শ্বশুরবাড়িতে এসেছিলেন। গতকাল মঙ্গলবার রাতে উপজেলার কাঁকড়ামারী বিল মেরামতপুর এলাকায় ফাঁদ পেতে তারা প্রায় ৭০০ পাখি শিকার করেন। সকালে পাখিগুলোকে জবাই করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খবর পেয়ে সেখানে অভিযান পরিচালনা করেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সোহরাব হোসেন জানান, সাজাপ্রাপ্তরা আগেও এই এলাকায় পাখি শিকার করেছেন বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন।  প্রতিটি পাখি ১০ টাকা করে হোটেলে বিক্রি করেন তারা। দুই শিকারি বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা ) আইন ২০১২ এর ৬ (১) ও ক(১) ধারায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। তারা ভ্রম্যমাণ আদালতের কাছে দোষ স্বীকার করেছেন।

তিনি আরও জানান, আসামিদের ওই আইনের ২৬ ধারায় এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের আরও এক হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। দুই আসামিকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পাখিগুলো স্থানীয় একটি এতিমখানায় দেওয়া হয়েছে।