সারা বাংলা

নির্বাচনের ১৫ মাস পর পরাজিত প্রার্থী জয়ী

সিরাজগঞ্জে নির্বাচনের ১৫ মাস পর ভোট গণনায় বিজয়ী হলেন বেলকুচি উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নে ৯ নং ওয়ার্ডের পরাজিত প্রার্থী মুকুল হোসেন।

বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাড. রেজাউল করিম রাখল পুনরায় ভোট গণনা শেষে এ রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এরআগে, বুধবার (১ মার্চ) বিকালে সিরাজগঞ্জ নির্বাচন ট্রাইবুনাল সদর কোর্টের বিচারক সুলতান উদ্দিন প্রধান পুনরায় ভোট গণনা শেষে এ রায় দেন। রায়ে মুকুল হোসেন ফুটবল মার্কায় ৪৩ ভোটে বিজয়ী হন। ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী মোট ৯২০ ভোট পেয়েছেন। আর তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সাইফুল ইসলাম পেয়েছেন ৮৭৭ ভোট।

জানা যায়, ২০২১ সালের ২৮ নভেম্বর বেলকুচি উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট অনুষ্ঠিত হয়। এসময় মোরগ প্রতীকের সাইফুল ইসলাম তার লোকবল দিয়ে ভোট কেন্দ্র দখল করে বলে অভিযোগ করেন ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী মুকুল হেসেন। ভোট গণনার সময় সাইফুল ইসলাম তার লোকদের দিয়ে মুকুলসহ তার সমর্থনকারী নূর মোহাম্মদ, শহিদুল, কামরুল সহ ২৫ জনকে মারধর করে আহত করেন। ভোট গণনায় বাধা দিয়ে তিনি তার জয় নিশ্চিত করেন। দেখা যায়, ফুটবল প্রতীকে মুকুল হোসেন ৯৬১ ভোট পান। আর মোরগ প্রতীকে সাইফুল ইসলাম ৯৭৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। পরে ২০২২ সালের ১১ জানুয়ারি বেলকুচি আমলি আদালতে মুকুল হোসেন বাদী হয়ে পুনরায় ভোট গণনার জন্য মামলা করেন। পরে দীর্ঘ ১৫ মাস পর দুই প্রার্থীর উপস্থিতিতে সিরাজগঞ্জ নির্বাচন ট্রাইবুনাল সদর কোর্টের বিচারক সুলতান উদ্দিন প্রধান পুন ভোট গণনা করেন। এতে ফুটবল প্রতীকের মুকুল হোসেন মোট ৯২০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন।

বিজয়ী মুকুল হোসেন বলেন, দীর্ঘ ১৫ মাস পরে আমি আইনের বিচার পেয়েছি। গণনায় ৪৩ ভোটে আমি বিজয়ী হয়েছি। এতে আমি আনন্দিত হয়েছি। এই বিজয় আমার একার নয়, আমার ওয়ার্ডের সাধারণ ভোটারের বিজয়।

বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাড. রেজাউল করিম রাখল বলেন, দীর্ঘ ১৫ মাস পর আইনি লড়াই শেষে আদালত ভোট গণনা করে। মুকুল হোসেন বিজয়ী হয়েছে। এতে মানুষ আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবে। পরবর্তীতে এই রায়ের কপি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হবে।