সারা বাংলা

নিজেদের মধ্যে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব বন্ধ করতে হবে : ওবায়দুল কাদের 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি বলেছেন, ‘নিজেদের মধ্যে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব বন্ধ করতে হবে। কেন এই রেষারেষি? একই দল করে, একই রাজনীতি আর আদর্শের অনুসারী হয়ে কেন আমাদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি। আমি তরুণ তুর্কিদের নিয়ে মাঝেমধ্যে দুশ্চিন্তায় পড়ি। এ সব পত্রিকায় যখন দেখি আমরা লজ্জ্বা পাই।’ 

তিনি বলেন, ‘তবে আমি একটা কথা বলে রাখি, শেখ হাসিনা জিরো টলারেন্স অপকর্মের বিরুদ্ধে। এই অবধি কাউকে তিনি ক্ষমা করেননি। যারা অপরাধ করেছে, তাদের তিনি শাস্তি দিয়েছেন।’ 

ওবায়দুল কাদের শনিবার (৪ মার্চ) বিকেলে চট্টগ্রাম উত্তর-দক্ষিণ ও মহানগর আওয়ামী লীগের আয়োজনে প্রয়াত মোসলেম উদ্দিন আহমদের স্মরণসভায় নাগরিক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার হত্যার প্রসঙ্গ টেনে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এই হত্যার সঙ্গে যারা জড়িত, সকলেই ছাত্রলীগের। ক্ষমা পাননি একজনও। বিশ্বজিত হত্যায় সব ছাত্রলীগ জড়িত ছিল। ছাত্রলীগ পরিচয়ে একজনও ক্ষমা পাননি। শেখ হাসিনা কাউকে ছাড় দেবেন না। ছাত্রলীগের নামে সবখানে যা হচ্ছে, এসব কষ্ট দেই আমাদের।’ 

প্রয়াত মোসলেম উদ্দিন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মোসলেম উদ্দিনের মৃত্যুতে দলের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। আমার জহুর আহমেদ চৌধুরীর কথা মনে পড়ে। মনে পড়ে এম এ হান্নান, আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু, এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর কথা।’ প্রয়াত মোসলেম উদ্দিনের দলের জন্য নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন বলে উল্লেখ করে তার বিভিন্ন কার্যক্রমের স্মৃতিচারণ করেন ওবায়দুল কাদের।

শোক সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, হুইপ শামসুল হক চৌধুরী এমপি, আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক ওয়াসিকা আয়েশা খান এমপি, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম, দক্ষিণ জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম প্রমুখ।

এদিকে, শোকসভা শেষে কনভেনশন হল থেকে বের হওয়ার সময় ভিড়ের চাপে কাচের দরজা ভেঙে আহত হয়েছেন চট্টগ্রামের সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাসির উদ্দিন।