সারা বাংলা

চৈত্রের ভোরে রাজশাহীতে শীতের কুয়াশা!

প্রকৃতিতে চৈত্র মাস। খরতাপের মৌসুম। ভোর শুরু হওয়ার কথা সূর্যের ঝলমলে আলোয়। কিন্তু বুধবার (২২ মার্চ) ভোরে ভিন্নচিত্র দেখা গেল রাজশাহীতে। ঘনকুয়াশায় ঢেকে ছিল রাজশাহীর প্রকৃতি। শীতের কনকনে ঠাণ্ডা ছাড়াই এমন বিরল কুয়াশা দেখে অবাক হয়েছে রাজশাহীর মানুষ।

রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার রাজশাহীতে সূর্যোদয় হয়েছে ভোর ৬টা ৮ মিনিটে। কিন্তু ঘন কুয়াশার কারণে সূর্য দেখা যায়নি। ভোরে সূর্যোদয়ের পরপরই ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে যায় প্রকৃতি। প্রায় আধাঘণ্টা পর প্রকৃতি স্বাভাবিক হয়ে ওঠে।

আবহাওয়া অফিস বলছে, শীত বিদায় নেওয়ার পর গ্রীষ্মের শুরুতে রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠেছে। কয়েক দিন ধরে অল্প অল্প বৃষ্টিও হচ্ছে। আগের দিন মঙ্গলবার (২১ মার্চ) রাতেও বৃষ্টি পড়েছে ছিটেফোঁটা। মেঘের গর্জনের সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎও চমকেছে। তারপর এই হঠাৎ কুয়াশা দেখে আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তারাও অবাক হয়েছেন।

রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাজীব খান বলেন, প্রায় আধাঘণ্টা ঘন কুয়াশায় ঢেকে ছিল প্রকৃতি। ভোর ৬টায় রাজশাহীর তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কেন এই কুয়াশা তা তিনি জানাতে পারেননি।

শীত না থাকলেও কুয়াশা দেখে আমচাষিরা শঙ্কায় পড়েছে। এমন কুয়াশা রাজশাহীর আমের মুকুল ও গুটির জন্য ক্ষতিকর বলে জানিয়েছেন রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোজদার হোসেন। তিনি বলেন, কুয়াশা বেশি হলে ‘পাউডারি মিলডিউ’ নামের এক ধরনের রোগ হতে পারে আমের মুকুলে। দীর্ঘ সময় কুয়াশা থাকলে আমের গুটির ও মুকুলের ক্ষতি হবে। তবে কুয়াশা বেশিক্ষণ না থাকায় ক্ষতি হবে না।